সুরগুজা (ছত্তিশগড়), 13 ফেব্রুয়ারি: কৃষি আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম চরিত্র চৌধুরি চরণ সিং ও এমএস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন দিলেও চাষিদের প্রতি অবিচার করছে মোদি সরকার ৷ মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ৷ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন তৈরির দাবিতে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই এই কথা বলেছেন তিনি ৷
জয়রাম রমেশ জানান, 2021 সালের নভেম্বরে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন ৷ সেই কারণে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা ৷ সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির সঙ্গে মঙ্গলবার অম্বিকাপুর মান্ডিতে দেখা করেন ৷
রাহুল গান্ধি এখন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে রয়েছেন ছত্তিশগড়ের সুরগুজায় ৷ সেখানকার জেলা সদর অম্বিকাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জয়রাম রমেশ ৷ সেখানে দিল্লি পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের সমালোচনাও করেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের এই সাংসদ ৷ তাঁর কথায়, আন্দোলনে বাধা দেওয়া, কৃষকদের ভয় দেখানো আসলে গণতন্ত্রের পরিপন্থী ৷ মোদির শাসনকালে গণতন্ত্রের এই পরিণতি হয়েছে ৷ তাই কৃষকদের বিদ্রোহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে তিনি জানান ৷
তিনি বলেন, "কিছুদিন আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার মহান কৃষক নেতা চরণ সিং এবং 'সবুজ বিপ্লবের জনক' স্বামীনাথনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন (দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান) ঘোষণা করেছে এবং আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই । কিন্তু যে সরকার দুই কিংবদন্তীর জন্য মর্যাদাপূর্ণ সম্মান ঘোষণা করেছে, তারা কৃষকদের প্রতি অবিচার করছে ৷"
একই সঙ্গে তিনি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন ৷ তাঁর দাবি, বিজেপি কৃষকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে ৷ কর্পোরেটদের সুবিধার জন্য জমি অধিগ্রহণ আইন পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা করেছে ৷ তিনটি কৃষি আইন এনে কৃষি উৎপাদন বাজার কমিটিকে নির্মূল করতে চেয়েছিল । আর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও শেষ করতে চেয়েছে ৷
জয়রাম রমেশের আরও দাবি, ইউপিএ সরকারের সময়ে এমএসপি 126 শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই ক্ষেত্রে মোদি সরকার পুরোপুরি ব্য়র্থ ৷ সেই কারণে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে কৃষকরা কম দাম পাচ্ছেন ৷ বাজারে কম দামের কারণে কৃষকরা ঋণের জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ 2013 সালের পর থেকে কৃষকদের ঋণের পরিমাণ 60 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার টাকাও দেরিতে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন: