রায়গঞ্জ, 11 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান । বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন । বিধায়কের এই হুমকিকে ঘিরে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে । অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানকে হুমকি না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুণ সিংহ ।
বুধবার চোপড়া ব্লকের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে এক নির্বাচনী সভায় চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘যে বিরোধী ভোটার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না, 26 এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে, থাকবে এলাকার বাহিনী । তারা কিছু করলে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করব না ।’’ একই সঙ্গে বিধায়ক আরও জানিয়েছেন চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য । চোপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রতিটি বুথে 90 শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে তিনি দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করাবেন ।
বিধায়কের এই হুমকির পর চোপড়া এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে । লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে এত হুমকি না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুণ সিংহ । তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচন দু’টি আলাদা । এই নির্বাচনে জোর খাটাতে গেলে তার পরিণাম ভালো হবে না ।
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচাইতে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা ছিল চোপড়া । বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোমা ছোড়া হয়েছিল । গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল । গুলি ও বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন । এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল । বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি । বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনগুলি জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস ।
আরও পড়ুন: