বসিরহাট, 13 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বসিরহাট। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে যান বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পুলিশের দিকে পালটা ইটবৃষ্টি শুরু হয় । বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে এসপি অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ।
এদিন দুপুরে বিজেপি এবং বামেদের বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঠেকাতে সংগ্রামপুরে 500 মিটার এলাকাজুড়ে 144 ধারা জারি করে প্রশাসন। অশান্তি এড়াতে এসপি অফিস চত্বরে মোতায়েন রাখা হয়েছিল জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং রণসজ্জায় সজ্জিত পুলিশের বাহিনী । এতকিছুর পরেও বিজেপির এসপি অভিযান ঘিরে অশান্তি কিন্তু রোখা গেল না । রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি কিছুই বাদ যায়নি ।একসময় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশকে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল পর্যন্ত ফাটাতে হয়। তাতে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক অসুস্থ হয়ে পড়েন । পালটা আন্দোলনরত গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের ছোঁড়া ইটবৃষ্টিতে পুলিশেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর ।
এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বসিরহাট এসপি অফিসের রাস্তার সামনে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চলে বিক্ষোভও ৷ এদিকে, 144 ধারা ভঙ্গ করে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ । সুকান্ত মজুমদারের সাফ কথা, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি চালিয়ে অন্যায় করেছে । তাই, আটক দলীয় কর্মীদের যতক্ষণ না ছাড়া হচ্ছে ততক্ষণ তিনি বসে থাকবেন এসপি অফিসের সামনে। অন্যদিকে,পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এদিন বিকালে বসিরহাটের বোর্ডঘাটে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ।
রাস্তায় পুলিশি বাধা এড়াতে মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদার লোকাল ট্রেনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন বসিরহাটের দিকে । তার আগে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার হৃদয়পুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে শাহজাহানদে'র মতো নেতাদের 'এনকাউন্টার' করার বিতর্কিত মন্তব্য করে গিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ । এদিন তিনি বলেন,"শাহজাহান-শিবু-উত্তমদে'র মতো নেতারা মহিলাদের উপর যে অত্যাচার করেছে, তার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড ! আমাদের সরকার থাকলে এদের এনকাউন্টার হত ।"
আরও পড়ুন :