ETV Bharat / politics

সাংসদের সঙ্গে এই আচরণ লজ্জাজনক, সুকান্তর আহত হওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

Sukanta Majumdar: জিপের বনেটের উপর দাড়িয়ে পড়লে তাঁকে টেনে নামাতে যায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্ঞান হারান সুকান্ত মজুমদার। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয়, তাঁর চিকিৎসা হবে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 14, 2024, 6:02 PM IST

Updated : Feb 14, 2024, 8:26 PM IST

সুকান্ত মজুমদার

বসিরহাট, 14 ফেব্রুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির অন্দরে ৷ বিজেপি নেতৃত্ব আক্রমণ শানাল সরাসরি মমতা সরকারের বিরুদ্ধেও ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সকলেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। শুভেন্দুর মতে একজন সাংসদ হওয়ার পরও সুকান্তর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন যে আচরণ করেছে তা লজ্জাজনক। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সহ্যের সমস্ত সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির আইটি সেলের প্রধানের।

ঘটনাচক্রে প্রথমে ট্রেনে করে বসিরহাট আর বুধবার সেখান থেকে সন্দেশখালির উদ্যেশে যাওয়ার সময় পথে বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিভিন্ন উপায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছনোর চেষ্টাও করেন এদিন। তবে টাকির কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় সুকান্তকে। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা চলতে থাকে।

সুকান্ত একটি পুলিশের জিপের বনেটের উপর দাড়িয়ে পড়লে তাঁকে টেনে নামাতে যায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্ঞান হারান সুকান্ত মজুমদার। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দল সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর চিকিৎসা হবে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

এই ঘটনার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি গতকাল থেকেই রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন ৷ এদিন সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হয়ে পড়ার সময়ও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ৷ তিনি জানান, এমন অবস্থা যে রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এরপর 'সুপার স্পেশালিটি' হাসপাতালে এসে দেখা গেল এখানে সুপার স্পেশালিটির মতো কোনও পরিষেবাই নেই। তাঁর আরও দাবি, ধ্বস্তাধ্বস্তিতে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীও ছিল।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, "পুলিশের লাঠি চার্জের জেরে আক্রান্ত এবং আহত হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজপি নেতাদের সন্দেশখালি পৌঁছতে না দেওয়ার জন্য 'পাশবিক বল' ব্যাবহার করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার একজন সাংসদ। তাঁর সঙ্গে এই ধরনের আচরণে মমতা সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত।

অন্যদিকে, অমিত মালব্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি লেখেন, "এবার অনেক হয়েছে। এই ঘটনা সীমা ছাড়িয়ে গেল। 'এঁরা' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করার জন্য যা যা করতে হয় তাই করছে। সন্দেশখালিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এখনও ধর্ষণ ও অত্যাচার চালাচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার নিন্দা করেন।

আরও পড়ুন

শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ, ব্লু-প্রিন্ট সাজাচ্ছে ইডি

টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সংজ্ঞাহীন সুকান্ত, বসিরহাট থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়

সুকান্ত মজুমদার

বসিরহাট, 14 ফেব্রুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির অন্দরে ৷ বিজেপি নেতৃত্ব আক্রমণ শানাল সরাসরি মমতা সরকারের বিরুদ্ধেও ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সকলেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। শুভেন্দুর মতে একজন সাংসদ হওয়ার পরও সুকান্তর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন যে আচরণ করেছে তা লজ্জাজনক। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সহ্যের সমস্ত সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির আইটি সেলের প্রধানের।

ঘটনাচক্রে প্রথমে ট্রেনে করে বসিরহাট আর বুধবার সেখান থেকে সন্দেশখালির উদ্যেশে যাওয়ার সময় পথে বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিভিন্ন উপায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছনোর চেষ্টাও করেন এদিন। তবে টাকির কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় সুকান্তকে। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা চলতে থাকে।

সুকান্ত একটি পুলিশের জিপের বনেটের উপর দাড়িয়ে পড়লে তাঁকে টেনে নামাতে যায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্ঞান হারান সুকান্ত মজুমদার। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দল সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর চিকিৎসা হবে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

এই ঘটনার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি গতকাল থেকেই রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন ৷ এদিন সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হয়ে পড়ার সময়ও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ৷ তিনি জানান, এমন অবস্থা যে রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এরপর 'সুপার স্পেশালিটি' হাসপাতালে এসে দেখা গেল এখানে সুপার স্পেশালিটির মতো কোনও পরিষেবাই নেই। তাঁর আরও দাবি, ধ্বস্তাধ্বস্তিতে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীও ছিল।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, "পুলিশের লাঠি চার্জের জেরে আক্রান্ত এবং আহত হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজপি নেতাদের সন্দেশখালি পৌঁছতে না দেওয়ার জন্য 'পাশবিক বল' ব্যাবহার করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার একজন সাংসদ। তাঁর সঙ্গে এই ধরনের আচরণে মমতা সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত।

অন্যদিকে, অমিত মালব্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি লেখেন, "এবার অনেক হয়েছে। এই ঘটনা সীমা ছাড়িয়ে গেল। 'এঁরা' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করার জন্য যা যা করতে হয় তাই করছে। সন্দেশখালিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এখনও ধর্ষণ ও অত্যাচার চালাচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার নিন্দা করেন।

আরও পড়ুন

শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ, ব্লু-প্রিন্ট সাজাচ্ছে ইডি

টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সংজ্ঞাহীন সুকান্ত, বসিরহাট থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়

Last Updated : Feb 14, 2024, 8:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.