কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ঘুরে আসার পরও দফায় দফায় তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি এলাকা। আর এর পেছনে বিজেপির মদত দেখছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শাসকদলের তরফ থেকে দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বকলমে সন্দেশকালির ঘটনার জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷
এদিন তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরের কথা মাথায় রেখে সন্দেশখালির উত্তেজনা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমাদের কাছেও কিছু কিছু খবর আসে। দিল্লির নির্দেশ আছে, সন্দেশখালিকে তারা রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চায়। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সফর শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে হবে। সন্দেশখালিকে ঠান্ডা হতে দেওয়া যাবে না। মিথ্যা অভিযোগ করতে হবে। আগুন লাগিয়ে দিতে হবে। সিপিএম-বিজেপি হাত মিলিয়ে এই চক্রান্তে সামিল হয়েছে।"
একই সঙ্গে, একের পর এক কমিশনের সন্দেশখালি আসা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। কুণাল ঘোষ বলেন, "এগুলি আসলে বিজেপি রক্ষা কমিশন। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের উপর দিল্লির নেতাদের ভরসা নেই। তাই সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে বিভিন্ন কমিশনকে ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।" এদিন প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর নিয়েও সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, "একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল ? একুশে বিজেপি হেরেছিল, আবারও হারবে। অনেকেই বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছেন নরেন্দ্র মোদি। আমি বলব পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বিজেপির হার শুরু হবে।"
আরও পড়ুন
'রাজভবনে নেই তো শেখ শাহজাহান ?' রাজ্যপালকে কটাক্ষ সেলিমের
'ঘৃণা ছড়াচ্ছেন শুভেন্দু, তারপরও আদালত রক্ষাকবচ দিচ্ছে কীভাবে!' প্রশ্ন তুললেন অভিষেক