বাগদা, 22 এপ্রিল: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়লেন বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর । তাঁকে ছুড়ে মারা হয় জল । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায় । পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় বসে পড়েন শান্তনু । সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বাগদা পুরাতন বাজার এলাকায় ।
বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সারাদিন বাগদা বিধানসভায় একাধিক নির্বাচনী কার্যক্রম রয়েছে শান্তনু ঠাকুরের । সকালে পুরাতন বাজারের রাধাবল্লভ মন্দিরে পুজো যান তিনি । অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ তাঁকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন । ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন শান্তনুকে লক্ষ্য করে জলও ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ । এতেই ক্ষেপে যান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা । দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি । যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার ছড়ায় এলাকায় ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ । তারা পরিস্থিতির সামাল দেয় । এই ঘটনায় দুই জন বিক্ষোভকারী মহিলা এবং একজন বিজেপি নেত্রী আহত হয়েছেন । তাঁদের বাগদা গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে । শান্তনু ঠাকুরের দাবি, "তৃণমূল এ বার পাঁচ লক্ষ ভোটে হারবে দেখে ভয় পেয়েছে । বাইরের থেকে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা, বন্দুক নিয়ে হামলা করছে, মহিলাদের এগিয়ে দিচ্ছে । প্রাণে মারার চক্রান্ত ছিল ।" একইসঙ্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন শান্তনু । তিনি দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে । প্রতিবাদে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি । পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ।
শান্তনুর করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস । তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সাংসদ হিসাবে শান্তনুকে পাঁচ বছর দেখতে পায়নি । কোনও কাজ করেনি । সাধারণ মানুষ সেইটা জানতে গিয়েছিলেন । সেখানে মহিলাদের মারধর করেছে । উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি এখানে আনতে চাইছে । এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই ।
বিক্ষোভকারী এক মহিলা আহত অবস্থায় হাসপাতালে বলেন, "আমরা কোনও দলের হয়ে যাইনি ৷ শান্তনু ঠাকুরের কাছে জানতে গিয়েছিলাম গত পাঁচ বছর তিনি কোথায় ছিলেন ! লকডাউনে আমরা খেয়ে আছি কি না দেখতে আসেনি । আমাদের বিজেপির কর্মীরা মারধর করেছেন । পুরুষ কর্মীরাও মেরেছেন ।"
আরও পড়ুন: