দুর্গাপুর, 11 এপ্রিল: ভোটাররা ভগবান ৷ তাঁদের যাঁরা খামোশ করতে চান, তাঁদেরকে জনতা চিরকালের জন্য খামোশ করে দেবে ৷ আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ্যে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিশানা করলেন এসএস আলুওয়ালিয়া ৷
বুধবার রাজ্যে এসে বালুরঘাটের প্রচারসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, বিজেপি আসানসোলে প্রার্থী করছে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে ৷ এরপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ দিল্লি থেকে সোজা অন্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামেন আলুওয়ালিয়া । তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের এবং দুর্গাপুরের নেতাকর্মীরা ভিড় জমাতে থাকেন বিমানবন্দরের বাইরে । সপরিবারে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বিমানবন্দরে নামার পরেই উৎসাহী বিজেপির নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ফুল মালায় বরণ করে নেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদকে ।
আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী এ দিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নিশানা করেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে ৷ আলুওয়ালিয়া বলেন,
"একজন শিক্ষক বেপরোয়া ছাত্রদের শান্ত করতে লাঠি হাতে খামোশ বলেন । কিন্তু যাঁরা জনগণের অর্থাৎ ভগবানের ভোটে নির্বাচিত হন, তাঁরাই যখন জনগণকে খামোশ করতে চান, তখন জনগণ তাঁদেরকে চিরকালের জন্য খামোশ করে দেন ।"
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশের পর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের তরফে ইতিমধ্যেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে । আর তারপর ওই দুই দলের তরফে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে ৷ 2 মার্চ বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ৷ সেখানেই আসানসোল থেকে ভোজপুরী গায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ তবে তিনি পরদিনই সোশাল মিডিয়ায় জানান, লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না ৷ পরে অবশ্য তিনি ফের লোকসভা ভোটে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ৷ আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে বঙ্গ বিজেপির আরও বেশ কিছু নাম উঠে এসেছিল ৷ তবে শেষমেশ দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়ার উপরেই ভরসা রাখে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
গত লোকসভা নির্বাচনে খুব কম সময়ের ব্যবধানে ভোটে প্রচার ময়দানে নেমেছিলেন এসএস আলুওয়ালিয়া । তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাজ সংঘমিত্রাকে পরাজিত করেছিলেন দু'বারের সাংসদ । এ বারও তাঁর হাতে প্রচারের সময় কম ৷ গতবারের মতো কম সময়েই নিজের ক্যারিশ্মায় বাজিমাৎ করতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার ৷
আরও পড়ুন: