কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: দল থেকে সাসপেনশনের পর এ বার শেখ শাহজাহানকে কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল । আগেই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, শুধু দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেনশন নয়, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও । সেই মতোই আজ ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন, শেখ শাহজাহানকে কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদের আসনে জিতে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হন শাহজাহান শেখ । মূলত তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে । গতকাল গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ । আর এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে আজ তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের কথা জানিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । এ বার তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস । এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনও পদে থাকছেন না সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান ।
এ দিন বিজেপির তরফ থেকে শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিকে নাটক বলে অভিহিত করা হয়েছে । এরই জবাব দিতে গিয়ে আজ রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, বিজেপি নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে । সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বা নারদা মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী অথবা মহিলা কুস্তিগীরদের অসম্মান করার অভিযোগ রয়েছে যে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সেই ব্রিজ ভূষণকে কি এ বার সাসপেন্ড করে দেখাতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী ?
শাহজাহানকে গ্রেফতার করা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য বসু । আর এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি । ব্রাত্য বসুর মতে, আসলে বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যুটিকে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত জিইয়ে রাখতে চাইছে । সে কারণেই আদালতের কাছে আবেদন করে শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে সময় চেয়েছে সিবিআই । তিনি এও মনে করছেন রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে ।
আরও পড়ুন: