বহরমপুর, 13 মে: ভোট শেষ হয়েছে, আর তার ঠিক পরেই একাধিক বুথে পুণর্নির্বাচনের দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ পাশাপাশি অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সোমবার নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বার বার ধন্যবাদও জানালেন অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে লোকসভা ভোট কার্যত প্রহসনে পরিণত হতো ৷
এদিন চতুর্থ দফার ভোটে বহরমপুর থেকে সেভাবে অভিযোগ জমা পড়েনি নির্বাচন কমিশনে ৷ সকাল থেকে বেশ কিছুটা উদ্বিগ্নভাবে ছোটাছুটি করতে দেখা গেলেও বেলা গড়াতেই অধীর চৌধুরীও চুপচাপ বসে পড়েন ৷ সেভাবে তাঁকে আর সারাদিন দেখা যায়নি বলেই খবর ৷ এরপর বিকালে শেষ বেলায় ভোট দিতে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী ৷ তবে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত যে দৃঢ়তা ভোট প্রচারে দেখা গিয়েছিল, সেই আত্মবিশ্বাসই দেখা গেল অধীর চৌধুরীর গলায় ৷
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, "বেশিরভাগটাই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে ৷ তবে সবটা শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি ৷ পুলিশের মধ্যে কমিটেড তৃণমূলের কিছু দালাল আছে ৷ যাদের তৃণমূল থানায় বসিয়েছিল ৷ সবাইকে সরাতে পারিনি ৷ সালারের কয়েকটি বুথে সকাল থেকে তৃণমূলের সন্ত্রাস হয়েছে ৷ বুথ দখল কেউ করতে পারেনি এবার ৷ কিন্তু ভুয়ো ভোট, ছাপ্পা ভোট হয়েছে ৷ সালার আর হিকমপুরের 10-12টা বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং পুলিশের যৌথ মদতে ছাপ্পা ভোট হয়েছে ৷"
একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এগুলোতে আমরা পুণর্নির্বাচনের আবেদন করব কমিশনে ৷ কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন আমাদের কথার গুরুত্ব দিয়েছে ৷ আমাদের কথা শুনেছে ৷ অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিশন ছুটে গিয়েছিল ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে এখানে নির্বাচনই হতো না ৷ কেন্দ্রের বাহিনী ছিল বলে এটা পঞ্চায়েত বা পৌরসভার ভোট হয়নি ৷ লোকসভার ভোট হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন
তৃণমূলের জমায়েতে হামলার আশংকা, 2 ঘণ্টা বুথের ভেতরেই আটকে বিজেপি প্রার্থী-এজেন্টরা
তপ্ত পিচে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৌজন্য বিনিময়ে প্রতিপক্ষ কীর্তি-দিলীপ