ETV Bharat / opinion

ছাদে সৌরবিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থা নির্মাণে সুবিধা ও সমস্যা কী কী

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 21, 2024, 7:37 PM IST

Solar Roof Top for Households: সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা তৈরি করেছে ৷ এক কোটির বাড়ির ছাদে সোলার সিস্টেম বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কী কী সুবিধা হবে ? আর এই কাজ করতে গিয়ে কী কী বাধার সম্মুখীত হতে হবে ? এই নিয়ে লিখেছেন পেন্নার ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর পিভি রাও ৷

Solar Roof Top
Solar Roof Top

হায়দরাবাদ, 21 ফেব্রুয়ারি: আগামী 30 বছরে বিশ্বের যেকোনও দেশের তুলনায় ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে । তাই বিদ্যুতের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমরা আর কয়লা ও অন্যান্য উৎসের উপর নির্ভর করতে পারি না ৷ তাই সৌরশক্তির জন্য আমাদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে । কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারত 2030 সালের মধ্যে 500 গিগাওয়াট পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । এছাড়াও দেশ 2030 সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে 50 শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই তা 43 শতাংশে পৌঁছেছে ৷ এর মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি 30 শতাংশ ।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন । 2024 সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছেন যে এই প্রকল্পের উপভোক্তারা প্রতি মাসে 300 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাবেন এবং উদ্বৃত্ত সৌরশক্তি বিক্রি করতে পারবেন ৷ এর ফলে তাঁদের বছরে প্রায় 15-18 হাজার টাকা সাশ্রয় হবে ৷ এই প্রকল্পের লক্ষ্য সারা ভারতে 1 কোটি পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা, যা খুবই আশ্চর্যজনক ! যাই হোক, 2023 সালের 31 জুলাই পর্যন্ত যেসব ভারতীয় বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসেছে, সেখান থেকে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ 2.2 গিগাওয়াট ৷

আমাদের অনেক কাজ করতে হবে । সরকার 2014 সালে এই নিয়ে একটি প্রকল্প চালু করে ৷ তবে তা নিয়ে খুব বেশি প্রচার হয়নি ৷ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে যে এই নতুন প্রকল্পটি সাফল্য পায় কি না ! আমরা যখন আরও দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন ছাদে সৌর সিস্টেমের প্রচারের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ।

2014 সালে চালু করা জাতীয় রুফটপ স্কিম 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জনে সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল । তবে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি৷ ফলে সরকার সময়সীমা 2026 পর্যন্ত বাড়িয়েছে । এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার নতুন করে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।

সৌরশক্তির ব্যবহারে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্টস কমাতে আরও পরিবারকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে ৷ এর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন ৷ আর সেই ব্যবস্থা করে সরকার স্বচ্ছ ও সবুজ ভবিষ্যতের দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে । আরও বেশিসংখ্যক লোক পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির গুরুত্ব বুঝতে পারলে আমরা আশা করতে পারি যে আগামী বছরগুলিতে সোলার রুফটপ সিস্টেম ব্যবহারের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে যাবে ৷ প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা ঘোষণা প্রতিটি ভারতীয় পরিবারের দীর্ঘমেয়াদী শক্তির ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক কোটি দরিদ্র মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো গেলে পাওয়ার গ্রিডের উপর নির্ভরতা কমানো যাবে ৷ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে বিদ্যুতের ব্য়বহারে স্বনির্ভর হবে ৷ তাদের বিদ্যুৎ বিল কমানো যাবে । এটি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আমাদের নির্ভরতা ও পাওয়ার গ্রিডের উপর লোড কমিয়ে দেবে, যা বিদ্যুতের ব্যবহার সুযোগ বৃদ্ধি করবে । সৌরশক্তির ব্যবহার শুধু নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগই তৈরি করবে না ৷ বরং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে । এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি, যেখানে ভারত পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে ।

প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য একটি মাপকাঠি থাকবে ৷ সেটা পূরণ হলে তবেই এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ৷ আবেদনকারীদের অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে । আবেদনকারীর বার্ষিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা উচিত নয় (সেটা নির্ধারণ করা হবে)। আধার কার্ড, আয় ও বসবাসের শংসাপত্র, মোবাইল নম্বর, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাঙ্কের পাসবুক, পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং রেশন কার্ড থাকতে হবে আবেদনকারীদের ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করার কাজ করছে ৷ নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে আগ্রহী পরিবারগুলি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারে ।

2023 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে সৌরশক্তির ব্য়বহার বেড়েছে প্রায় 73.31 গিগাওয়াট । যদিও ছাদে সৌর বিদ্যুৎ ইনস্টল করার ক্ষমতা প্রায় 11.08 গিগাওয়াট, যা 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াট সৌরশক্তির ব্য়বহারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে ছিল ।

আমরা যদি রাজ্যগুলির কথা বলি, তাহলে রাজস্থান 18.7 গিগাওয়াট সৌর ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে আছে ৷ তারপরে 10.5 গিগাওয়াট নিয়ে গুজরাত । কিন্তু এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটা মোট সৌর ক্ষমতা, শুধুমাত্র ছাদের সৌর ক্ষমতা নয় । গুজরাত 2.8 গিগাওয়াট-সহ ছাদে সৌরশক্তি ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে ৷ এর পরে মহারাষ্ট্র, সেখানে 1.7 গিগাওয়াট সৌরশক্তি ব্যবহার হয়েছে ।

ভারতের বর্তমান পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ধারণক্ষমতা প্রায় 180 গিগাওয়াট ৷ এর মধ্যে প্রধান অংশ রয়েছে সৌরশক্তির ৷ এর পরিমাণ 72.3 গিগাওয়াট ৷ এর পরে সবচেয়ে বড় হাইড্রো (46.88 গিগাওয়াট) । কিন্তু ছাদে সোলার সিস্টেমের ব্যবহার বৃদ্ধির এখনও অনেক জায়গা আছে । আমরা ইতিমধ্যেই দারুণ অগ্রগতি করেছি ৷ কিন্তু 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াটে পৌঁছানোর যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, সেখানে পৌঁছানোর জন্য আমাদের অবশ্যই জোর দিতে হবে ।

ছাদে সৌর প্যানেল, ফটোভোলটাইক প্যানেল নামেও পরিচিত ৷ এটা অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎসের উপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে একটি গঠনমূলক সমাধান প্রদান করে । বাড়ির ছাদে এই প্যানেলগুলি স্থাপন করে আমরা সূর্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি এবং সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারি । এটি গ্রিড-সংযুক্ত বিদ্যুতের খরচ কমাতে সাহায্য করে এবং শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য খরচ বাঁচায় ।

একটি সোলার রুফটপ সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য শুরুতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সেই তুলনায় নগন্য ৷ এই দীর্ঘমেয়াদী শক্তির উৎসে বিনিয়োগ করে, আমরা আমাদের বিদ্যুৎ বিল তো কমাচ্ছিই ৷ পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশ দূষণ কমাতেও অবদান রাখছি । ছাদের সোলার সিস্টেম থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ কোনও বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ব্যাটারি চার্জ করা যেতে পারে বা বিদ্যুৎ গ্রিডে রফতানি করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে সোলার পিভি প্যানেল ছাড়াও, একটি ছাদে সোলার সিস্টেমের অন্যান্য উপাদান থাকে ৷ সেগুলি হল ইনভার্টার, মডিউল মাউন্টিং স্ট্রাকচার, তার, পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং মিটার ইত্যাদি ।

ছাদের উপরে সোলার সিস্টেমের সুবিধা হল বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়, ছাদের পড়ে থাকা খালি অংশের ব্যবহার, বসাতে সময় কম লাগে, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের জন্য অতিরিক্ত কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই, বিদ্যুতের ব্যবহার ও উৎপাদন একসঙ্গে হওয়ায় টেল-এন্ড গ্রিডের ক্ষতি কমায়, টেল-এন্ড গ্রিডের উন্নতি ভোল্টেজ এবং সিস্টেমে বাধা কমায় ও কার্বন নির্গমন হ্রাস করে ৷ পরিবেশ দূষণও কমায় দীর্ঘমেয়াদে ৷

নতুন এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের মতে, রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম ফেজ-2 এর অধীনে, 4 হাজার মেগাওয়াট যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আবাসিক ক্ষেত্রে প্রায় 3377 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো সোলার সিস্টেম বসাতে 2023 সালের 28 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে ৷ এই কর্মসূচির অধীনে 2917.59 কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র ৷ এছাড়াও, রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম ফেজ-2 এর অধীনে 4.3 লক্ষ উপভোক্তা উপকৃত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।

ছাদে এই সোলার সিস্টেম বসাতে সবচেয়ে জরুরি সহজে টাকার জোগাড়, অনিয়ন্ত্রিত নেট মিটারিং এবং একটি সহজ নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া প্রয়োজন । এর জন্য সরকারি ও অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যেতে পারে । ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কিছু বিষয় যুক্ত করতে পারলে তা অবশ্যই আকর্ষণীয় হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনায় আর 10 গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে ৷

তাই এই ক্ষেত্রে যুক্তদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে ৷ এর মধ্যে রয়েছে সোলার সিস্টেম ডিজাইন ও ইনস্টল করার জন্য অতিরিক্ত কর্মশক্তির প্রশিক্ষণ এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে উপভোক্তাদের শিক্ষিত করা । রাজ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনগুলিকে উপায় খুঁজতে হবে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীরা দিনের বেলা বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারে ৷ এখন যারা বণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে, তাদের অনেকের কাছেই সোলার সিস্টেম নিয়ে সঠিক তথ্য নেই ৷ সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে এই শক্তির ব্যবহার আরও সহজ হবে ৷

বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয়ের এক্তিয়ারের তালিকা ভুক্ত৷ তাই বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে ভিন্ন নীতি রয়েছে ৷ দামও আলাদা হয় ৷ তাই সরকারি চাপ সত্ত্বেও ছাদে ছাদে সোলার সিস্টেমের ব্যবহার বৃদ্ধি করা যায়নি ৷ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নতুন একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রধান কারণগুলি হল নীতিগত জটিলতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিকল্পনার গলদ, বিকৃত বাজার ব্যবস্থা ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ যেমন গ্রিড সংযোগের সঙ্গে জড়িত ।

প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনায় সরবরাহ বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি । প্রতি পরিবারে ন্যূনতম 1 কিলোওয়াট ইনস্টলেশন হতে পারে ধরে নিয়ে এক কোটি পরিবারের জন্য 10 গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সৌর মডিউল, ইনভার্টার, নেট মিটার ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে হবে ৷ এর ফলে ছাদে সোলার সিস্টেম বসানোর প্রায় 90 শতাংশ লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে ।

2026 সালের লক্ষ্যমাত্রার আগে এই উপাদানগুলি ও আনুষাঙ্গিকগুলি একটি সীমিত সময়ের মধ্যে তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ । বাইরে থেকে আনলে সরবরাহে সমস্যা হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে দেশেই তা তৈরি হবে ৷ দীর্ঘমেয়াদী পন্থা নিলে বর্তমানে যে সমস্যাগুলি হচ্ছে, সেগুলিও মোকাবিলা করা যাবে ৷ নিয়মের বাধা কমানোর জন্য এই ক্ষেত্রে এক জানালা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে পারে সৌরবিদ্যুৎ, মত বিশেষজ্ঞদের
  2. সৌরবিদ্যুৎ, এক অফুরান শক্তি

হায়দরাবাদ, 21 ফেব্রুয়ারি: আগামী 30 বছরে বিশ্বের যেকোনও দেশের তুলনায় ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে । তাই বিদ্যুতের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমরা আর কয়লা ও অন্যান্য উৎসের উপর নির্ভর করতে পারি না ৷ তাই সৌরশক্তির জন্য আমাদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে । কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারত 2030 সালের মধ্যে 500 গিগাওয়াট পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । এছাড়াও দেশ 2030 সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে 50 শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই তা 43 শতাংশে পৌঁছেছে ৷ এর মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি 30 শতাংশ ।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন । 2024 সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছেন যে এই প্রকল্পের উপভোক্তারা প্রতি মাসে 300 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাবেন এবং উদ্বৃত্ত সৌরশক্তি বিক্রি করতে পারবেন ৷ এর ফলে তাঁদের বছরে প্রায় 15-18 হাজার টাকা সাশ্রয় হবে ৷ এই প্রকল্পের লক্ষ্য সারা ভারতে 1 কোটি পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা, যা খুবই আশ্চর্যজনক ! যাই হোক, 2023 সালের 31 জুলাই পর্যন্ত যেসব ভারতীয় বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসেছে, সেখান থেকে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ 2.2 গিগাওয়াট ৷

আমাদের অনেক কাজ করতে হবে । সরকার 2014 সালে এই নিয়ে একটি প্রকল্প চালু করে ৷ তবে তা নিয়ে খুব বেশি প্রচার হয়নি ৷ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে যে এই নতুন প্রকল্পটি সাফল্য পায় কি না ! আমরা যখন আরও দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন ছাদে সৌর সিস্টেমের প্রচারের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ।

2014 সালে চালু করা জাতীয় রুফটপ স্কিম 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জনে সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল । তবে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি৷ ফলে সরকার সময়সীমা 2026 পর্যন্ত বাড়িয়েছে । এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার নতুন করে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।

সৌরশক্তির ব্যবহারে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্টস কমাতে আরও পরিবারকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে ৷ এর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন ৷ আর সেই ব্যবস্থা করে সরকার স্বচ্ছ ও সবুজ ভবিষ্যতের দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে । আরও বেশিসংখ্যক লোক পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির গুরুত্ব বুঝতে পারলে আমরা আশা করতে পারি যে আগামী বছরগুলিতে সোলার রুফটপ সিস্টেম ব্যবহারের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে যাবে ৷ প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা ঘোষণা প্রতিটি ভারতীয় পরিবারের দীর্ঘমেয়াদী শক্তির ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক কোটি দরিদ্র মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো গেলে পাওয়ার গ্রিডের উপর নির্ভরতা কমানো যাবে ৷ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে বিদ্যুতের ব্য়বহারে স্বনির্ভর হবে ৷ তাদের বিদ্যুৎ বিল কমানো যাবে । এটি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আমাদের নির্ভরতা ও পাওয়ার গ্রিডের উপর লোড কমিয়ে দেবে, যা বিদ্যুতের ব্যবহার সুযোগ বৃদ্ধি করবে । সৌরশক্তির ব্যবহার শুধু নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগই তৈরি করবে না ৷ বরং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে । এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি, যেখানে ভারত পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে ।

প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য একটি মাপকাঠি থাকবে ৷ সেটা পূরণ হলে তবেই এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ৷ আবেদনকারীদের অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে । আবেদনকারীর বার্ষিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা উচিত নয় (সেটা নির্ধারণ করা হবে)। আধার কার্ড, আয় ও বসবাসের শংসাপত্র, মোবাইল নম্বর, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাঙ্কের পাসবুক, পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং রেশন কার্ড থাকতে হবে আবেদনকারীদের ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করার কাজ করছে ৷ নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে আগ্রহী পরিবারগুলি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারে ।

2023 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে সৌরশক্তির ব্য়বহার বেড়েছে প্রায় 73.31 গিগাওয়াট । যদিও ছাদে সৌর বিদ্যুৎ ইনস্টল করার ক্ষমতা প্রায় 11.08 গিগাওয়াট, যা 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াট সৌরশক্তির ব্য়বহারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে ছিল ।

আমরা যদি রাজ্যগুলির কথা বলি, তাহলে রাজস্থান 18.7 গিগাওয়াট সৌর ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে আছে ৷ তারপরে 10.5 গিগাওয়াট নিয়ে গুজরাত । কিন্তু এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটা মোট সৌর ক্ষমতা, শুধুমাত্র ছাদের সৌর ক্ষমতা নয় । গুজরাত 2.8 গিগাওয়াট-সহ ছাদে সৌরশক্তি ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে ৷ এর পরে মহারাষ্ট্র, সেখানে 1.7 গিগাওয়াট সৌরশক্তি ব্যবহার হয়েছে ।

ভারতের বর্তমান পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ধারণক্ষমতা প্রায় 180 গিগাওয়াট ৷ এর মধ্যে প্রধান অংশ রয়েছে সৌরশক্তির ৷ এর পরিমাণ 72.3 গিগাওয়াট ৷ এর পরে সবচেয়ে বড় হাইড্রো (46.88 গিগাওয়াট) । কিন্তু ছাদে সোলার সিস্টেমের ব্যবহার বৃদ্ধির এখনও অনেক জায়গা আছে । আমরা ইতিমধ্যেই দারুণ অগ্রগতি করেছি ৷ কিন্তু 2022 সালের মধ্যে 40 গিগাওয়াটে পৌঁছানোর যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, সেখানে পৌঁছানোর জন্য আমাদের অবশ্যই জোর দিতে হবে ।

ছাদে সৌর প্যানেল, ফটোভোলটাইক প্যানেল নামেও পরিচিত ৷ এটা অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎসের উপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে একটি গঠনমূলক সমাধান প্রদান করে । বাড়ির ছাদে এই প্যানেলগুলি স্থাপন করে আমরা সূর্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি এবং সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারি । এটি গ্রিড-সংযুক্ত বিদ্যুতের খরচ কমাতে সাহায্য করে এবং শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য খরচ বাঁচায় ।

একটি সোলার রুফটপ সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য শুরুতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সেই তুলনায় নগন্য ৷ এই দীর্ঘমেয়াদী শক্তির উৎসে বিনিয়োগ করে, আমরা আমাদের বিদ্যুৎ বিল তো কমাচ্ছিই ৷ পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশ দূষণ কমাতেও অবদান রাখছি । ছাদের সোলার সিস্টেম থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ কোনও বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ব্যাটারি চার্জ করা যেতে পারে বা বিদ্যুৎ গ্রিডে রফতানি করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে সোলার পিভি প্যানেল ছাড়াও, একটি ছাদে সোলার সিস্টেমের অন্যান্য উপাদান থাকে ৷ সেগুলি হল ইনভার্টার, মডিউল মাউন্টিং স্ট্রাকচার, তার, পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং মিটার ইত্যাদি ।

ছাদের উপরে সোলার সিস্টেমের সুবিধা হল বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়, ছাদের পড়ে থাকা খালি অংশের ব্যবহার, বসাতে সময় কম লাগে, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের জন্য অতিরিক্ত কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই, বিদ্যুতের ব্যবহার ও উৎপাদন একসঙ্গে হওয়ায় টেল-এন্ড গ্রিডের ক্ষতি কমায়, টেল-এন্ড গ্রিডের উন্নতি ভোল্টেজ এবং সিস্টেমে বাধা কমায় ও কার্বন নির্গমন হ্রাস করে ৷ পরিবেশ দূষণও কমায় দীর্ঘমেয়াদে ৷

নতুন এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের মতে, রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম ফেজ-2 এর অধীনে, 4 হাজার মেগাওয়াট যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আবাসিক ক্ষেত্রে প্রায় 3377 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো সোলার সিস্টেম বসাতে 2023 সালের 28 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে ৷ এই কর্মসূচির অধীনে 2917.59 কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র ৷ এছাড়াও, রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম ফেজ-2 এর অধীনে 4.3 লক্ষ উপভোক্তা উপকৃত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।

ছাদে এই সোলার সিস্টেম বসাতে সবচেয়ে জরুরি সহজে টাকার জোগাড়, অনিয়ন্ত্রিত নেট মিটারিং এবং একটি সহজ নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া প্রয়োজন । এর জন্য সরকারি ও অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যেতে পারে । ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কিছু বিষয় যুক্ত করতে পারলে তা অবশ্যই আকর্ষণীয় হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনায় আর 10 গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে ৷

তাই এই ক্ষেত্রে যুক্তদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে ৷ এর মধ্যে রয়েছে সোলার সিস্টেম ডিজাইন ও ইনস্টল করার জন্য অতিরিক্ত কর্মশক্তির প্রশিক্ষণ এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে উপভোক্তাদের শিক্ষিত করা । রাজ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনগুলিকে উপায় খুঁজতে হবে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীরা দিনের বেলা বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারে ৷ এখন যারা বণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে, তাদের অনেকের কাছেই সোলার সিস্টেম নিয়ে সঠিক তথ্য নেই ৷ সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে এই শক্তির ব্যবহার আরও সহজ হবে ৷

বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয়ের এক্তিয়ারের তালিকা ভুক্ত৷ তাই বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে ভিন্ন নীতি রয়েছে ৷ দামও আলাদা হয় ৷ তাই সরকারি চাপ সত্ত্বেও ছাদে ছাদে সোলার সিস্টেমের ব্যবহার বৃদ্ধি করা যায়নি ৷ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নতুন একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রধান কারণগুলি হল নীতিগত জটিলতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিকল্পনার গলদ, বিকৃত বাজার ব্যবস্থা ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ যেমন গ্রিড সংযোগের সঙ্গে জড়িত ।

প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনায় সরবরাহ বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি । প্রতি পরিবারে ন্যূনতম 1 কিলোওয়াট ইনস্টলেশন হতে পারে ধরে নিয়ে এক কোটি পরিবারের জন্য 10 গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সৌর মডিউল, ইনভার্টার, নেট মিটার ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে হবে ৷ এর ফলে ছাদে সোলার সিস্টেম বসানোর প্রায় 90 শতাংশ লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে ।

2026 সালের লক্ষ্যমাত্রার আগে এই উপাদানগুলি ও আনুষাঙ্গিকগুলি একটি সীমিত সময়ের মধ্যে তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ । বাইরে থেকে আনলে সরবরাহে সমস্যা হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে দেশেই তা তৈরি হবে ৷ দীর্ঘমেয়াদী পন্থা নিলে বর্তমানে যে সমস্যাগুলি হচ্ছে, সেগুলিও মোকাবিলা করা যাবে ৷ নিয়মের বাধা কমানোর জন্য এই ক্ষেত্রে এক জানালা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে পারে সৌরবিদ্যুৎ, মত বিশেষজ্ঞদের
  2. সৌরবিদ্যুৎ, এক অফুরান শক্তি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.