হায়দরাবাদ, 1 অগস্ট: হাতে সময় তিনবছর ৷ এর মধ্যে চাষি ও তাঁদের জমিতে যাতে ভালোভাবে কৃষিকাজ করা যায়, তাতে সাহায্য করার জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার । পাশাপাশি সারাদেশে এক কোটি কৃষককে প্রাকৃতিক চাষে(ন্যাচারাল ফার্মিং) উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও করছে কেন্দ্র । একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে চাষাবাদে বিকাশের দিকে মনোনিবেশ এবং মরশুম অনুযায়ী চাষের জন্য নতুন উচ্চ-ফলনশীল বীজগুলিকে কৃষকদের দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে ।
23 জুলাই লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন । ওই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার 'বিকশিত ভারত'-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য নয়টি বিষয়টকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ৷ তার মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রের বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষি, মহিলা এবং যুবকদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।
কৃষি ও আনুষঙ্গিক ক্রিয়াকলাপের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ৷ অন্তর্বর্তী বাজেটের স্তর থেকে 19 শতাংশ বাড়িয়ে 1.52 লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে এই বরাদ্দ । গ্রামীণ উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে 2.65 লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবর্ষে 2.38 লক্ষ কোটি টাকা ছিল ৷ সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরির সুবিধার্থে ক্রেডিট-সংযুক্ত ভর্তুকি স্কিম, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং রাস্তা উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে । উচ্চ বরাদ্দ গ্রামীণ এলাকায় কার্যকলাপ পরিচালিত করতে এবং মানুষের আয়ে সাহায্য করবে ৷
তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী সার ভর্তুকিতে বরাদ্দ 1.64 লক্ষ কোটি টাকা বজায় রাখা হয়েছে, যা ছিল অন্তর্বর্তী বাজেটে । ভর্তুকির মাত্রা অর্থবর্ষ 2023-এ 2.5 লক্ষ কোটি টাকা ছিল ৷ আর্থিক বছর 2024-এ তা কমে 1.9 লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে ৷ এর ফলে সার উৎপাদনের ইনপুট খরচ বাড়তে পারে । কৃষকদের আয় সহায়তা প্রকল্পে বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হয়েছিল ৷ তেমনটাই হয়নি বরং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধিতে(পিএম-কিসান) বরাদ্দ 60,000 কোটি টাকা বজায় রেখেছে বাজেটে সরকার ।
আত্মনির্ভর ভারতের ধারণাকে সামনে রেখে সরকার ঘোষণা করেছে, ডাল এবং তৈলবীজের উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান এবং বিপণনকে শক্তিশালী করবে । বর্তমানে ভারত ভোজ্যতেল ও ডাল আমদানির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল । তহবিলের একটি বড় অংশ ডাল এবং তৈলবীজের উৎপাদন, সঞ্চয় এবং বিপণনের উন্নতির দিকে পরিচালিত হবে । এটি একটি ভালো পদক্ষেপ । এই পদক্ষেপটি এই ফসলের উৎপাদনের আওতাধীন এলাকা বাড়াতে এবং আমদানি রোধে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি হেক্টর ফসলের ফলন উন্নত করতে সহায়তা করবে । কাঙ্খিত ফলাফল পেতে রাজ্য সরকারগুলিকে সম্পূর্ণ পরিমাপে কেন্দ্রকে সহযোগিতা করতে হবে ।
শস্য বহুমুখীকরণ
ভারত অতিরিক্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদন করে প্রায়ই প্রাকৃতিক সম্পদ (ধানের ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জলের সম্পদ) শোষণ করে । ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নীতিগুলি, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও ভর্তুকিযুক্ত সার এবং জল কৃষকদের তাদের বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষে উৎসাহিত করে । কৃষকদের নতুন ফসল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য এবং শস্য বৈচিত্র্যকে উন্নীত করার জন্য একটি সরকার-চালিত প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে ।
কৃষকদের আরও লাভজনক ফসলের চাষ করাতে উৎসাহিত করতে চাইছে সরকার ৷ তাই ফসল বৈচিত্র্যকরণ পরিকল্পনা (CDP)-এর অংশ হিসাবে ধান ছাড়া অন্য ফসল রোপণের জন্য পঞ্জাবের কৃষকদের প্রতি একর জমিতে 7000 টাকা দেওযার পরিকল্পনা করা হয়েছে । দীর্ঘস্থায়ী এবং আরও লাভজনক ফসল চাষের জন্য একইভাবে অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা উচিত ।
প্রাকৃতিক চাষে জোর
সরকার ভারতীয় প্রকৃতিক কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচির (BPKP) অধীনে প্রাকৃতিক চাষকে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে । প্রথমবারের মতো কেদ্নরীয় বাজেটে জৈব সার প্রচারের জন্য আলাদা 100 কোটি টাকার তহবিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । সরকার আগামী দুই বছরে এক কোটি কৃষককে দিয়ে প্রাকৃতিক চাষ করানোর পরিকল্পনা করছে । বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান এবং ইচ্ছুক গ্রাম পঞ্চায়েতদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এই রূপান্তরটি অর্জন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ যার জন্য 10,000টি প্রয়োজন-ভিত্তিক জৈব-ইনপুট রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হবে ।
দীর্ঘস্থায়ীর দৃষ্টিকোণ থেকে জৈব ও জৈবসার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গ্রহণের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা করা উচিত । বাণিজ্যিকভাবে দেশব্যাপী প্রাকৃতিক চাষ বাস্তবায়নের জন্য আগ্রাসী নীতিগত পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে । এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের প্রচেষ্টা লাগাতে হবে ।
ডিজিটালাইজেশন
ছয় কোটি কৃষক এবং তাঁদের জমির বিবরণ কৃষক ও জমি রেজিস্ট্রিতে একীভূত করে এই বছর দেশের 400টি জেলায় খরিফ ফসলের জন্য একটি ডিজিটাল শস্য জরিপ করা হবে । যেহেতু এটিকে খুব বেশি অগ্রাধিকার হিসাবে দেখা হচ্ছে তাই এর জন্য টাকা কৃষির জন্য মূল বাজেট বরাদ্দ থেকে নেওয়া হবে । এই সমীক্ষাটি আরও সুনির্দিষ্ট শস্যের অনুমান বের করতে সাহায্য করবে, যা কৃষক এবং ভোক্তা উভয়কেই ঘাটতি বা কঠিন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে ।
সরকার প্রচুর কৃষি প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশনের দিকেও মনোনিবেশ করেছে, যা কৃষকদের সাহায্য করবে এবং কিষাণ বিমা ও অন্যান্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যয়ের জন্য সরকারের আর্থিক প্রতিশ্রুতি হ্রাস করবে । কৃষি খাতের উন্নয়নের ডিজিটালাইজেশন সরকারি নীতি বাস্তবায়নকে মসৃণ করতে পারে । এই উদ্যোগটি পশুপালন, দুগ্ধজাত এবং মৎস্য চাষের মতো সংশ্লিষ্ট খাতের উপর নির্ভরশীল মানুষের দরিদ্র অংশের কাছে পৌঁছতেও সাহায্য করতে পারে, যাতে তাদের আয় বাড়ানো যায় ।
ডিজিটালাইজেশন কৃষিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ । এজি-টেক উদ্ভাবনগুলিকে ব্যবহার করলে ভারতীয় কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে ৷ নির্ভুল চাষ, AI-চালিত বিশ্লেষণ এবং IoT-এর মতো উন্নত প্রযুক্তিগুলির একীকরণ চাষের অনুশীলনগুলিকে অপ্টিমাইজ করতে পারে, ফলন বাড়াতে পারে এবং ফসলের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে ।
এই প্রযুক্তিগত লাফ শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতাই বাড়াবে না, বরং ভারতীয় কৃষি রফতানির আবেদনকেও বাড়িয়ে তুলবে । তেলেঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এজি-টেক প্লেয়ারদের বিস্তারকে উন্নত করতে রাজ্য-নির্দিষ্ট কৃষি-প্রযুক্তি নীতি তৈরি করেছে । সামগ্রিক বাজেট বরাদ্দে এই প্রয়োজনীয়তাও মেটাতে হবে । এই প্রযুক্তিগুলির উন্নয়ন এবং স্থাপনার জন্য এজি-টেক হাব প্রতিষ্ঠা, স্টার্ট-আপের প্রচার এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করার জন্য কেউ উচ্চস্তরের বরাদ্দ কামনা করতে পারে ।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি দার্জিলিং থেকে চা, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বাসমতি, রত্নাগিরি থেকে আলফোনসো, উত্তরপ্রদেশের কালানামাক চাল, কাশ্মীর থেকে জাফরান ইত্যাদির মতো জিআই-ম্যাপ করা ফসলের রফতানি সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান সরবরাহ করে । এই ধরনের প্রযুক্তিগুলি একটি পরিবর্তনমূলক পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে দেশের লুকানো কৃষি রত্নগুলির প্রচার ও বিপণন । সত্যতা নিশ্চিত করে, স্বচ্ছতা উন্নত করে, সার্টিফিকেশন সরলীকরণ করে এবং ভোক্তাদের আস্থা তৈরি করে, ব্লকচেইন ভারতীয় কৃষকদের এবং উৎপাদকদের লাভজনক বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে পারে ।
ফসল কাটার পরবর্তী অবকাঠামোতে সীমিত সহায়তা
অনেক বাজেট পর্যবেক্ষক আশা করেছিলেন, সরকার ফসল কাটার পরবর্তী অবকাঠামো বাড়ানো, উচ্চ-মূল্যের এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ফসলে বিনিয়োগ, এবং অত্যাধুনিক এজি-টেক উদ্ভাবনগুলিকে ব্যবহার করে কৃষি সমৃদ্ধির একটি নতুন যুগের সূচনা করবে বাজেটে । এই বিষয়ে বাজেটে যা প্রস্তাব করা হয়েছে তা হল, প্রধান ভোগ কেন্দ্রগুলির কাছে সবজি উৎপাদনের জন্য বৃহৎ আকারের ক্লাস্টারের বিকাশের মাধ্যমে সবজির সরবরাহ শৃঙ্খলা বাড়ানো ।
ফসল কাটার পরবর্তী অবকাঠামো শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ । অপর্যাপ্ত স্টোরেজ এবং পরিবহণ সুবিধার কারণে পণ্যের অপচয় একটি বহুবর্ষজীবী চ্যালেঞ্জ, যা রফতানি সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করে । অত্যাধুনিক স্টোরেজ সুবিধা, দক্ষ লজিস্টিক নেটওয়ার্ক এবং শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন তৈরির জন্য তহবিল বরাদ্দ ভারতের কৃষি পণ্যগুলিকে তাজা এবং রফতানি-প্রস্তুত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে । এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র ফসল-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতিই কমাবে না, বরং বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের গুণমান এবং প্রতিযোগীতা বাড়াবে । এই বিষযয়ে সাহায্য করার জন্য এই বাজেটে তেমন বরাদ্দ করা হয়নি । তবে সীমিত বাজেট বরাদ্দের মধ্যে এই উদ্দেশ্য কীভাবে অর্জিত হবে তা দেখতে হবে ।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি
জলবায়ু পরিবর্তন এখন পসল চাষে বড় হুমকির কারণ । গ্রীষ্মের প্রখর উত্তাপ মনে করিয়ে দেয় কীভাবে প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে । এক্ষেত্রে একটি অভিযোজন কৌশল বিকাশ ঐচ্ছিক নয়, এটি অপরিহার্য । পরিচালন পর্যায়ে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের সম্প্রসারণ, সহনশীল জাতের ফসল চাষে বিনিয়োগ এবং আর্থিক পরিষেবা ও প্রযুক্তিগত অ্যাক্সেস বাড়ানোর জন্য বাজেটে কীভাবে বরাদ্দ করা হবে তা দেখতে হবে ।
কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে ভর্তুকি, গবেষণা এবং উন্নয়ন উদ্যোগ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ যাতে কৃষকদের এই জলবায়ু-সহনশীল ফসলগুলিকে বৈচিত্র্যময় এবং ভালোভাবে চাষ করতে উৎসাহিত করা যায় ৷ যার ফলে আয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পাবে । কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে বাজেটে বরাদ্দের আবেদন করা হচ্ছে ৷ এই বছর বাজেটে কৃষিতে গবেষণা ও উন্নয়ন অগ্রসর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে । আমরা আশা করি এই নীতি কাঙ্খিত ফলাফল প্রদান করবে ।
বাজেটে একটি নতুন আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের সঙ্গে অ্যাকুয়াকালচার সেক্টরকেও সম্বোধন করা হয়েছে । ন্যাশনাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD) এর মাধ্যমে চিংড়ি চাষ এবং রফতানির জন্য তহবিল-সহ চিংড়ি ব্রুডস্টকের জন্য নিউক্লিয়াস প্রজনন কেন্দ্রগুলির একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে । এই উদ্যোগটি চিংড়ি চাষ শিল্প এবং এর রফতানির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নতুন জাতীয় সহযোগিতা নীতির ঘোষণা করেছেন । এই নীতির লক্ষ্য, সমবায় খাতের সুশৃঙ্খল উন্নয়ন নিশ্চিত করা । এর উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা এবং উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা । সর্বোপরি কেন্দ্রীয় বাজেট হল, বরাদ্দের সাহায্যে নীতির বাস্তবায়ন । এটি কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা রাজ্য সরকারের কার্যকারিতার উপর নির্ভর করবে । একটি মূল ফ্যাক্টর: ভারত গবেষণা ও কৃষি উন্নয়নে জিডিপির মাত্র 0.4 শতাংশ ব্যয় করে ৷ এটি চিন, ব্রাজিল এবং ইজরায়েলের মাত্রার চেয়ে অনেক নীচে ।
(মতামত লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত)