চন্দননগর, 10 নভেম্বর: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা প্রতিবারই নজর কাড়ে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর। তবে এর পাশাপাশি থিমের দিক থেকেও অন্যদের টেক্কা দিচ্ছে চন্দননগর ৷ এবার চন্দননগরে আসা দর্শনার্থীদের উন্মাদনা বাড়াচ্ছে বাগবাজার চৌমাথার আলো। তাদের পুজো এবার প্ল্যাটিনাম জুবিলি বর্ষে। সবমিলিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের অনুষ্ঠান দেখতে আসা পর্যটকদের ভিড় চন্দননগর স্টেশন রোডে।
ইংরেজ শাসিত কলকাতার মতোই ফরাসিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা চন্দননগরে একদা গড়ে উঠেছিল বাগবাজার। শহরের অন্যতম বিগ বাজেটের জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এখানকার চৌমাথা এলাকায়। সেখানেই এবার আলোর বিশেষ সাজ তুলে ধরা হয়েছে। এমনিতে চন্দননগর স্টেশন থেকে বাগবাজার জিটি রোড পর্যন্ত এলাকার চিরাচরিত আলোর সৌন্দ্যর্য তো আছেই ।
তার উপর 267 ফুট রাস্তা জড়ে স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা হয়েছে। আরজিবি সারফি লাইটের সঙ্গে মিউজিক, ডিস্কোকেও যেন হার মানাচ্ছে। এমনিতেই টুনি বাল্ব থেকে নিত্য নতুন এলিডি আলো অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে চন্দননগর আলোক শিল্পকে। তার মধ্যে আলো আর শব্দের এই বিশেষ শো বহু মানুষের মন কাড়ছে।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, "75 বছরে বাগবাজার চৌমাথা নতুন কিছু চিন্তাভাবনা কথা মাথায় রেখেই এই আলো করেছে ৷ সাধারণত বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে যে আলোর বাহার দেখা যায় আমরা সেই আলোই দর্শকদের উপহার দিয়েছি 267 ফুট এলাকাজুড়়ে। রাস্তার আলো সঙ্গে সাউন্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আলো করেছি। এর আগে গোটা দেশে শুধুমাত্র বেঙ্গালুরু ও পুনে শহরে এমন লাইটের শো হয়েছিল, তাও খুব ছোট করে। এই লাইটের শো সাধারণত সিঙ্গাপুরে হয়। এভাবেই ইন্টারন্যাশনাল ফ্লেভার আনার চেষ্টা করেছি আমাদের পুজোয়।"
উল্লেখ্য, আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী ৷ সন্ধ্যা থেকে রাতে এদিন জনজোয়াড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই। পাশাপাশি, এবছর বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি হীরক জয়ন্তী, সুবর্ণ জয়ন্তীতে পা-দিয়েছে। তাই চমকের পর চমক থাকছেই।