ডিম অনেকের কাছে প্রিয় খাদ্য ৷ সকালের সেদ্ধ হোক বা ভাতের ডিমের ঝোল অনেকের কাছে ডিম পছন্দের ৷ যখন কোনও স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা আসে তখন সস্তায় সহজপাচ্য ডিমকেই ধরা হয় ৷ তবে অনেককেই দেখা যায় ডিম ঠিকঠাক মতো সেদ্ধ করা হয় না ৷ কোনও সময় ঠিক সেদ্ধ হয় আবার কখনও হয় না ৷ অনেক সময় পাত্রে ডিম সেদ্ধ করার সময় ফেটে যায় ৷ ফলে ডিমের ভিতরের অংশ বেরিয়ে আসে ৷ আবার কখনও কখনও দেখা যায় উপর থেকে সেদ্ধ হলেও খোসা ছাড়ানো যায় না ৷ আবার উপরে ঠিকঠাক সেদ্ধ হলেও ভিতরে কুসুম নরম থেকে যায় ৷
তাই ডিম সেদ্ধ করার করার সময় কিছু ট্রিকস মাথায় রাখলেই আপনার ডিম সেদ্ধ হবে পারফেক্ট ৷ কীভাবে করবেন ?
যদি বেশি পরিমাণে ডিম দেন তাহলে একটি মাঝারি পাত্রে জল গরম করতে দিন ৷ এবার জল হালকা ফুটে উঠলে এক চামচ মতো নুন দিন ৷ এবার আস্তে আস্তে ডিমগুলি দিয়ে দিন ৷ এমন পাত্র নেওয়া জরুরি যাতে ডিম একটি সঙ্গে আরেকটি লেগে ভেঙে না যায় ৷ একটি ডিমের সঙ্গে আরেকটি ধাক্কা লেগে ভেঙে গেলে ডিমের ভিতরের অংশ বেরিয়ে যায় ৷
ডিম সেদ্ধ করার জন্য সবসময় গ্যাসের আঁচ মাঝারি রাখুন । ডিম সেদ্ধ করার পর গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে দিন ৷ এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে দিন ৷ তারপর খোসা ছাড়ালে দেখবেন সহজেই ডিমের খোসা খুলে আসছে । তবে কেউ নরম কুসুমের ডিম পছন্দ করেন আবার কেউ শক্ত কুসুমের ৷
হাফ বয়েল ডিম পছন্দ হলে 7-8 মিনিট ফোটান এবং এক থেকে দুই মিনিট পর ওই জল থেকে সরিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন । আর কুসুম একটু নরম চাইলে 9-10 মিনিট ফুটিয়ে নিন । 12 মিনিট ফোটান ফুল বয়েলড এগের জন্য । এছাড়াও ফোটানোর পর কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া প্রয়োজন ৷
সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা (Health Benefits Of Boiled Egg):
সেদ্ধ ডিম পুষ্টির একটি বড় উৎস । একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় প্রচুর ক্যালোরি থাকে ৷ যা শরীরে প্রোটিন, চর্বি এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে । সেদ্ধ ডিম ভিটামিন B12, D এবং রাইবোফ্লাভিনের একটি চমৎকার উৎস ৷ যা শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় । এছাড়া সিদ্ধ ডিমে কোলিন থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
https://www.health.harvard.edu/nutrition/eggs-and-your-health