সাম্প্রতিক সময়ে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে অল্প বয়সেই চুল পড়ে যায় । এর অনেক কারণ থাকলেও বিশেষজ্ঞরা জানান, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে চুল পড়া কিছুটা হলেও রোধ করা যায় । চুলকে সুন্দর রাখা প্রয়োজন সবসময় ৷
শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা যতটা প্রয়োজন, চুলের যত্নের জন্যও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলতে হবে । এরজন্য বেশিকরে জল খাওয়া প্রয়োজন ৷ ফলে চুলকেও স্বাস্থ্যকর করা যায় ৷
সম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য হাইড্রেট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ যা জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে ৷ এছাড়ও বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া ভালো ৷ এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, স্নানের জন্য খুব গরম জল ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তাই স্নানের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় । চুল মজবুত করতে স্নানের পর কন্ডিশনার লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানান, যতটা সম্ভব স্নান করার পরে আপনার চুল স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দেওয়া উচিত । সতর্ক করা হয় যে গরম হেয়ার ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে চুলকানি, অ্যালার্জি এবং চুল ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেবে । ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত গরম ভাপ চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দেয় । এছাড়াও, স্নানের পর চুল মোছার জন্য নিয়মিত তোয়ালেগুলির পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার ব়্যাপার ব্যবহার করা ভালো ।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন স্নান করার পরপরই চুল আঁচড়াবেন না । এতে বেশি চুল উঠে যায় ৷ চুল একটু শুুকিয়ে যাওয়ার পর চুল আঁচড়ানো ভালো ৷ চুল আঁচড়ানোর জন্য একটি নরম ব্রিস্টলযুক্ত একটি চিরুনি ব্যবহার করা হয় ৷
ঠান্ডা জায়গায় যাওয়ার সময়, উলের তৈরি টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হবে ৷ অন্যথায় ঠান্ডা বাতাস চুলের জন্য ক্ষতি করতে পারে । এটাও বলা হয় যে স্বাস্থ্যকর চুল গজাতে নিয়মিত চুল কাটা উচিত ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)