কুমড়োর বীজ যা আমরা সাধারণত ফেলে দি আসলে আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে । এগুলি শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এটি ব্যবহারে ত্বকের জন্যও উপকারী হতে পারে ৷
কুমড়োর বীজ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ৷ যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে, চুলকে মজবুত করতে এবং ব্রণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে । কুমড়ার বীজের কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা এবং এটিকে আপনার সৌন্দর্যের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার উপায় সম্পর্কে জানি ।
ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে: কুমড়োর বীজে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই-এর মতো উপাদান পাওয়া যায় ৷ যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে । এটি শুষ্ক ত্বকে স্বস্তি দেয় এবং এটিকে নরম করে তোলে । কুমড়ার বীজ এবং দইয়ের পেস্ট তৈরি করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন । এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি আর্দ্রতা রাখতে সাহায্য় করবে ।
বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা দূর করে: কুমড়োর বীজে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে বার্ধক্যের লক্ষণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে । এটি বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা কমিয়ে ত্বককে টানটান ও তরুণ রাখে । কুমড়ার বীজ এবং মধু মিশিয়ে মুখে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান । এটি ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায় ।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কুমড়োর বীজে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ৷ যা চুলকে মজবুত ও সুস্থ রাখে । এটি চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য ৷ কুমড়োর বীজের তেল দিয়ে মাথায় আলতো করে মাসাজ করুন । এটি চুলের পুষ্টি জোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে ।
ব্রণ ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন: কুমড়োর বীজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে । কুমড়োর বীজ এবং ওটসের পেস্ট তৈরি করে ফেস মাস্ক হিসেবে লাগান । এটি ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
https://pmc.ncbi.nlm.nih.gov/articles/PMC8141732/