ওয়াশিংটন, 17 জুলাই: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলার পিছনে ইরানের হাত রয়েছে ! এমনই তথ্য সামনে আনল মার্কিন প্রশাসন ৷ তাঁদের দাবি, কিছুদিন আগে পেন্টাগনের গোয়েন্দাদের কাছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর এসেছিল ৷ তারপর তাঁর নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস ৷ তাঁর প্রচারেও বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা ৷ যদিও ইরানের সঙ্গে ট্রাম্পের উপর হামলাকারী 20 বছরের থমাস ম্যাথিউ ক্রুকসের আদৌ কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি ৷
ইরানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কোনওদিনই ভালো নয় ৷ জানা গিয়েছে, 2020 সালের মার্কিনি ড্রোন হামলায় ইরাকে মারা যান ইরানের কুদস্ ফোর্সের নেতা তথা সেনার জনপ্রিয় জেনারেল কাসেম সোলেমানি ৷ সেই হামলার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই দায়ী করে ইরান ৷ সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার ট্রাম্প এবং তাঁর প্রাক্তন সেক্রেটারি মাইক পোম্পেও হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলে খবর ৷
মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি জানান, তাঁরা এবং দেশের বাকি সংস্থাগুলির কাছে এই হামলা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য এসেছে ৷ সেইমতো প্রতিটি তথ্যকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি ৷ গুগলিয়েলমি বলেন, "আমরা কোনও নির্দিষ্ট হুমকি সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারব না ৷ তবে গোপন সূত্রে পাওয়া প্রতিটি খবরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছে সিক্রেট সার্ভিস ৷ সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ।" অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েনে ওয়াটসন জানান, দেশের নিরাপত্তা আধিকারিকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎকালীন কর্তাদের উপর ইরানি হুমকির তদন্ত করছেন ।
রাষ্ট্রসংঘে ইরানিয়ান মিশন আমেরিকার এই দাবিকে অস্বীকার করেছে ৷ তাদের দাবি, মার্কিন প্রশাসনের এই তথ্যের কোনও ভিত নেই ৷ বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশে এধরনের মন্তব্য করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে ট্রাম্প সম্পর্কে ইরানের দাবি, "ট্রাম্প একজন অপরাধী যাঁকে অবশ্যই আইনের আদালতে বিচার দিতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে ।"
শনিবার পেনসিলভেনিয়ার এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় ৷ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ডান কানের উপরের অংশে গুলির আঘাত লাগে তাঁর ৷ গুলি চালনার পর ডায়াসের নীচে বসে যান ট্রাম্প ৷ পরে নিরাপত্তরক্ষীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ৷ তবে আততায়ীর ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ট্রাম্পের এক সমর্থকের ৷ ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ৷ যদিও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তরক্ষীর গুলিতে মারা যান ওই আততায়ী ৷