নিউইয়র্ক, 5 নভেম্বর: আর কয়েকঘণ্টা পরেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবে আমেরিকা ৷ আর সেখানেই বাংলা ভাষার উজ্জ্বল উপস্থিতি ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই’য়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্কের ব্যালট ছাপা হয়েছে বাংলা ভাষাতেও ৷ আমেরিকার সমস্ত প্রদেশেই আগাম ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ একে বলা হয় ‘আর্লি ভোটিং’ ৷ নিউইয়র্কে আগাম ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা দেখেন, অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও ব্যালট ছাপা হয়েছে ৷
লড়াইটা মূলত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ৷ ধনীতম দেশের দুই ধনকুবেরের লড়াইতেই জুড়ে গেল বাংলা ভাষা ৷ নগর পরিকল্পনা বিভাগের জানাচ্ছে, নিউইয়র্কের বাসিন্দারা 200টিরও বেশি ভাষায় কথা বলেন ৷ বোর্ড অফ ইলেকশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন, বহু ভাষাভাষীর বাসস্থান নিউইয়র্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে ইংরেজি ছাড়াও আরও চারটি ভাষা রয়েছে । জায়গা করে নিয়েছে বাংলা, চাইনিজ, স্প্যানিশ ও কোরিয়ান ভাষা ৷
ব্যালট পেপারে কেন বাংলার অন্তর্ভুক্তি ?
প্রদেশের আইন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটি নির্দিষ্ট ভোটের ব্যালটে বাংলা ভাষার ব্যবহার করতে বাধ্য । এই আইন শুধুমাত্র ব্যালট পেপার নয়, অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভোটদানের উপকরণেও বলবৎ ৷ কিন্তু কেন ? রায়ান জানিয়েছেন, বাংলা ভাষা বোর্ড অব ইলেকশনের তালিকায় রয়েছে ।
তিনি বলেন, “ভারত বহু ভাষাভাষীর দেশ ৷ নিউইয়র্কের বাসিন্দারাও ভিন্ন ভাষাভাষী ৷ পাশাপাশি এই প্রদেশে বসবাসকারী এশিয়ানের তালিকাও দীর্ঘ ৷ ফলে একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার ঘনত্বের মধ্যে একটি এশিয়ান ও ভারতীয় ভাষা থাকা প্রয়োজন । বহু আলোচনার পর বাংলা ভাষাকে বেছে নেওয়া হয়েছে । নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় 2013 সালে প্রথম বাংলায় ব্যালট ছাপা হয়েছিল ।’’
এর মূল কারণ হচ্ছে নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাঙালির সংখ্যা ৷ যদিও তাঁদের সিংহভাগ বাংলাদেশ থেকে আগত । 2020 সালের পরিসংখ্যান বলছে, নিউইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে । আমেরিকার প্রায় 40 শতাংশ বাঙালিই থাকেন নিউইয়র্কে । ফলে এখানকার কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল ‘বাঙালিটোলা’ বলেও পরিচিত । এই বড় সংখ্যক ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই ব্যালটে বাংলার অন্তর্ভুক্তি ৷ প্রসঙ্গত, আমেরিকার প্রদেশগুলিতে আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে । 2020 সালে হিন্দিভাষী ভোটারদের জন্য ইলিনয়ের ব্যালটে হিন্দিও রাখা হয়েছিল ।