উইলমিংটন, 22 সেপ্টেম্বর: দেশের নিরাপত্তা, নতুন প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে ভারতে তৈরি হতে চলেছে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন কারখানা ৷ শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তারপরই দুই রাষ্টানেতা এই বিষয়ে সদর্থক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
এই মুহূর্তে বিভিন্ন দেশের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে নিউইয়র্কের বহুজাতিক সংস্থা 'গ্লোবাল ফাইন্ডারিজ' ৷ ভারতের জন্য সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে এই সংস্থাকেই ৷ কলকাতায় তৈরি করা হবে এই সংস্থার কারখানা ৷ নাম দেওয়া হবে 'জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার' ৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই দেশের উন্নতিতে কৃত্রীম বুদ্ধিমত্তা, অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টারস্ তৈরিতেও এই প্রকল্প যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই বিষয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, দেশে একটি অত্যাধুনিক সেন্সিং ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷ আর সে কারণে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরি নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার মধ্যে ৷ এই কারখানায় মূলত ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রেড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকন্ডাক্টরস্ তৈরি করা হবে ৷ এই উদ্যোগ ভারতীয় সেমিকন্ডাক্টর মিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ পাশাপাশি, ভারত সেমি, থার্ড আইটেক এবং ইউ স্পেস ফোর্সের মধ্যে কৌশলগত প্রযুক্তি অংশীদারিত্বের জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম ৷
শনিবার কোয়াডের বৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য, সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ সেই বৈঠকের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস ৷ সেখানে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা বলা রয়েছে ৷
মার্কিন এবং ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় গবেষণাগার এবং বেসরকারি গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একটি নতুন ইউএস-ইন্ডিয়া অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস R&D ফোরামের সূচনার কথা বলা রয়েছে সেখানে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে এই সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন ব্যবহার করা হয় ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশেরই কর্মসংস্থান বাড়বে ৷