বেজিং, 7 নভেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল এসেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিসকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু ইলেক্টোরাল কলেজেই নয়, পপুলার ভোটেও হ্যারিসের বিপক্ষে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আসছে ট্রাম্পের জন্য। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় রয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ৷ ট্রাম্পকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে সঠিক পথ খোঁজার জন্যেও ট্রাম্পকে আহ্বান জানান তিনি।
কী বললেন চিনা জিনপিং?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তায় শি জিনপিং দুই দেশের প্রতি যোগাযোগ জোরদার করে মতপার্থক্য দূর করার আবেদন জানিয়েছেন। জিনপিং বলেন, 'আমি চিন ও আমেরিকাকে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি দুই দেশকে নতুন যুগে একসঙ্গে বসবাসের সঠিক পথ অবলম্বন করার আহ্বান জানাই। বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ দুটির উচিত আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা।'
চিনের রফতানির ওপর শুল্ক আরোপে প্রতিক্রিয়া:
মার্কিন নির্বাচনে আমেরিকার প্রাক্তন (45 তম) প্রেসিডেন্ট ব্যাপক জয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের 47তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফিরছেন। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 380 বিলিয়ন ডলারের বেশি চিনা রফতানির উপর শুল্ক আরোপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, বেইজিং সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং বলেছে চিন আমেরিকান জনগণের পছন্দকে সম্মান জানায়।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের নীতি সঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে এবং আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি অনুযায়ী চিন-মার্কিন সম্পর্ককে দেখতে ও পরিচালনা করতে চাইব।' বৃহস্পতিবার, চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য জেডি ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে:
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং চিনা আমদানির উপর শুল্ক বাড়ানোর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমরা কাল্পনিক কোনও বিষয় নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না।' আসলে, চার বছরের ব্যবধানের পর দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে ৷ বিশেষ করে, এখন চিনা অর্থনীতি গুরুতর মন্দার সম্মুখীন হয়েছে ৷ এর ফলে চিনে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে এবং চাকরি হারানোর আশঙ্কা এবং বেকারত্বের হার বেড়েছে । ফলে, সব মিলিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ফলাফল কী হতে চলেছে, তার উপর নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের ৷