নাগরকুর্নুল, 26 ফেব্রুয়ারি: শ্রীশৈলম লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানেল (SLBC)-এ টানেল দুর্ঘটনায় পেরিয়ে গিয়েছে 4 দিন ৷ উদ্ধারকারী দলের আপ্রাণ চেষ্টাতেও আশার আলো দেখা যায়নি ৷ শেষ 50 মিটার পথ পেরোতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের । এখনও সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন 8 জন শ্রমিক । জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দলের একটি অংশ সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলেও আটকে থাকা শ্রমিকদের খুঁজে পায়নি ৷
এই মুহূর্তে উদ্ধার অভিযানেও সমস্যা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে জল জমে রয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজেও পদে পদে বাধা আসছে ৷ কাদা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে দেরি হলেও সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে দলটি । নাগরকুর্নুলের পুলিশ সুপার বৈভব গায়কোয়াড় বলেন, "এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং র্যাট মাইনারদের সমন্বয়ে গঠিত 20 সদস্যের একটি দল সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে । কিন্তু সেখানে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে । সেগুলি সরিয়ে কীভাবে উদ্ধারকাজ শেষ করা যায়, সেই পরিকল্পনা চলছে ৷ গতকাল উদ্ধারকারী দল সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তের 40 মিটার আগে পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল । দলটি ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান করলেও এখনও পর্যন্ত আটকে থাকা শ্রমিকদের খোঁজ মেলেনি ।

তিনি বলেন, ‘‘ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা, যারা নমুনা সংগ্রহ করেছে, তারা এখনও মাটির শক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ে কোনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি । সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এনডিআরএফ, জিএসআই এবং অন্যান্য সংস্থার শীর্ষপদস্থ আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা বুধবারও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবে ৷ ধসে পড়া মাটি, পলি ও জলের অবিরাম ধারার ফলে উদ্ধারকারীদের কাজ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে ৷ সুড়ঙ্গের ভিতরে তাঁরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ও উদ্ধারকাজ শেষ করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।’’
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে তেলেঙ্গানার সেচমন্ত্রী উত্তম কুমার রেড্ডি বলেন, ‘‘এটি বিশ্বের অন্যতম জটিল এবং কঠিন টানেল উদ্ধার অভিযানের একটি ৷ কারণ এসএলবিসি টানেলের প্রবেশ বা প্রস্থানের জন্য একটি মাত্র রাস্তা রয়েছে । এখনও আটকে পড়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি, যদিও টানেলটিতে অবিরাম অক্সিজেন পাম্প করা হচ্ছে ।’’
প্রসঙ্গত, 22 ফেব্রুয়ারি সকাল 8টা 30 মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে । টানেলের প্রবেশপথের 14 কিলোমিটার ভিতরে ছাদের প্রায় 3 মিটার অংশ ধসে পড়ে । ওই সময় প্রায় 60 জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন । বাকি শ্রমিকরা সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে পারলেও টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) পরিচালনাকারী শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়াররা টানেলের গভীরে আটকে পড়েন । আটকদের মধ্যে দু’জন ইঞ্জিনিয়ার, দু’জন মেশিন অপারেটর এবং চারজন শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।