তেল আবিব, 10 জুন: গাজায় ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল ৷ এক কথায় হামাসদের নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ৷ এই আবহে দেশের নিরাপত্তার খাতিরে সম্প্রতি কাতারের সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইজরায়েল সরকার ৷ সেই সূত্রেই এবার আল জাজিরার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও 45 দিন বাড়ল ৷ এই বিষয়ে ইজরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে সমগ্র ইজরায়েলে এই সংবাদ সংস্থার সম্প্রচার আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "এই বিষয়ে পাওয়া উপযুক্ত এবং নিরাপদ সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সরকারের সর্বসম্মতিতেই তা গৃহীত হয়েছে ৷"
এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন শ্লোমো ৷ তিনি বলেছেন, "আমরা আল জাজিরার মতো একটি সন্ত্রাসী চ্যানেলকে দেশে সম্প্রচার করতে দেব না ৷ সংবাদ সংস্থার কাজকর্মের জন্য দেশের সেনাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়ছে ৷ ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে ৷
স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, প্রকাশিত বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা দেননি ইজারেয়েলি মন্ত্রী ৷ তবে ইজরায়েলের এক স্থানীয় সংবাদপত্র থেকে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ সম্পর্কে জানা যায় ৷ এদিকে, গত বুধবার কারহির অনুরোধ 45 দিনের বদলে তেল আবিব জেলা আদালত আল জাজিরার উপর 35 দিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ৷
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে ইজরায়েল সরকার ৷ অবশেষে 5 মে সংবাদ সংস্থার সমস্ত কাজ বন্ধ করার পক্ষে ভোট দেয় ইজরায়েল সরকারের অন্তর্গত সকলে ৷ সেই সিদ্ধান্তের পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে সংবাদ সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন ইজরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী ৷
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি হামলা সম্পর্কে প্রথম থেকেই সমালোচনা করেছে আল জাজিরা ৷ আর সেই কারণে নেতানিয়াহু সরকারের বিপক্ষদের তালিকায় চলে আসে কাতারের এই সংবাদ সংস্থা ৷ গত 7 অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় সংঘাতের ঝাঁঝ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল ৷