ঢাকা, 3 ডিসেম্বর: বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও সমাজে ভারতীয় মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি আবেদন জমা পড়ল বাংলাদেশ হাইকোর্টে ৷ ওই আবেদনে অপসংস্কৃতির প্রভাব এড়াতে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান হয়েছে ৷
সোমবার পিটিশন দাখিলকারী আইনজীবী এখলাস উদ্দীন ভূঁইয়া ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যাক্ট 2006-এর অধীনে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ কেন জারি করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে। আবেদনে তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-সহ অন্যদের বিবাদী হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই পিটিশনে স্টার প্লাস, স্টার জলসা, জি বাংলা, রিপাবলিক বাংলা এবং অন্যান্য সব ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলি কোনও নিয়ম মানে না ৷ পাশাপাশি, ওই টিভি চ্যানেলগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিরোধী বিষয়বস্তুর অনিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ।
সম্প্রতি, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিংসা ও হামলার ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে ৷ এর ফলে সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সাহায্যের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসা ও হামলার ঘটনার পাশাপাশি একাধিক জায়গায় মন্দির ধ্বংসের অভিযোগও উঠেছে।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশের সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর 27 নভেম্বর, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পুলিশ ও চিন্ময়কৃষ্ণর অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আইনজীবী নিহত হন। এর পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে দেশে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। ভারত বারবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু, তার পরেও সে দেশের পরিস্থিতি এখনও বেশ উদ্বেগজনক !