ওয়াশিংটন, 23 ফেব্রুয়ারি: বাইডেনের দেশে মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের ৷ শিকাগোর ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন অকুল ধাওয়ান ৷ গত একমাস আগে মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার ৷ ক্লাবে ঢুকতে না পেরে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভুত পড়ুয়ার ৷ এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷
18 বছর বয়সী ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের মা-বাবা মার্কিন পুলিশের কাছে ওই পড়ুয়ার নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন ৷ এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে ৷ এত দেরিতে কেন ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পডুয়ার বাবা-মা ৷ মৃতের ওই পড়ুয়া অকুল ধাওয়ানের বাবা-মায়ের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ সঠিক ভাবে অনুসন্ধান শুরু করেনি ৷ বুসি-ইভান্স রেসিডেন্স হল সংলগ্ন এলাকাতেও কোনও অনুসন্ধান করা হয়নি ৷ ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ করেছেন ওই পড়ুয়ার বাবা-মা ৷
চলতি বছরের 31 জানুয়ারি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ওই ছাত্রের মৃত্যুর কথা ৷ সেখানেই উল্লেখ কার হয় 20 জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ পড়ুয়ার অকাল মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ অনুমান প্রচন্ড ঠন্ডা সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন অকূল ৷ উল্লখ করা হয়েছিল, 20 জানুয়ারি 1200 নম্বর ব্লকের আরবানা এলাকার নিভাদা স্ট্রিট থেকে সকাল 11.8 (আমেরিকার সময়) মিনিটে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷
ওই পড়ুয়ার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেই পুলিশ জানতে পারেন, ওই পড়ুয়ার বন্ধুদের ঢুকতে দিলেও তাকে দেয়নি ৷ এমনকী তার বন্ধুরা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ করেন যাতে অকুলকে ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয় ৷ শেষ পর্যন্ত ঢুকতে না পেরে ক্লাবের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি ৷ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যাওয়ায় তা সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই অকূল ধাওয়ানের ৷ এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জন কিরবি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার নিন্দা করেছিলেন ৷ জাতি, লিঙ্গ বা অন্য কোনও কারণে হিংসার ঘটনা বরদাস্ত নয় বলেই জানান তিনি । তারপরেও হিংসারর ঘটনা জারি বাইডেনের দেশে ।
আরও পড়ুন: