বেইরুট, 29 অক্টোবর: হিজবুল্লা প্রধানকে হত্যার পর সংগঠনের সম্ভাব্য প্রধানকেও হত্যা করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৷ তা সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হিজবুল্লা ৷ মঙ্গলবার হিজবুল্লার প্রধান হলেন শেখ নঈম কাশেম ৷ 71 বছর বয়সি কাশেম হিজবুল্লার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ৷ 1991 সাল থেকে তিনি দলের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল পদে রয়েছেন ৷
হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে প্রথম থেকেই হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর পক্ষে ছিল ইরান ৷ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয় হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম কোবেইসির ৷ সেই মৃত্যুর দায় নেয় ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) ৷ লেবাননের দক্ষিণী বেইরুটে হামলাতে প্রাণ গিয়েছে সংগঠনের শীর্ষ মিসাইল কমান্ডারের ৷
এরপর সেপ্টেম্বরের শেষে হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে বিমান হামলায় নিকেশ করে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) ৷ এর দায়ও স্বীকার করে নেয় আইডিএফ ৷ ইজরায়েলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, "হাসান নাসারাল্লা আর কখনও বিশ্বকে আতঙ্কিত করতে পারবে না ৷" এরপর 8 অক্টোবর বিমান হানাতেই মৃত্যু হয় হাসেম সাফিয়েদ্দিনের ৷ নাসারাল্লার পর তিনি সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন ৷ দক্ষিণ লেবাননে আইডিএফ বিমান হামলায় তাঁরও মৃত্যু হয় ৷ সেই দায়ও স্বীকার করে নেয় ইজরায়েল ৷
এই অবস্থায় শেখ নঈম কাশেমই হিজবুল্লাকে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছে সংগঠন ৷ 1953 সালের ইজরায়েলের সীমান্তবর্তী কাফার ফিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাশেম ৷ 2006 সালে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নাসারাল্লা আত্মগোপন করেছিলেন ৷ সেই সময় হিজবুল্লার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দায়িত্ব সামলেছেন কাশেম ৷ 27 সেপ্টেম্বর নাসারাল্লার মৃত্যুর পর তিনবার সংবাদমাধ্যমে আরবি ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন ৷