ওয়াশিংটন, 15 এপ্রিল: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উসকে দিচ্ছে এই ঘটনা ৷ পরিস্থিতি শান্ত করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে ৷ একইসঙ্গে এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না-ঘটে সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে ৷ শনিবার রাতে ইজরায়েলে ইরানের আক্রমণকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করে এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল জি-7 গোষ্ঠীর নেতারা ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ৷
1 এপ্রিল ইরানের সিরিয়া কলস্যুলেটে হামলার পালটা দিয়ে শনিবার রাতে প্রায় 300 ড্রোন, ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে ইজরায়েলের উপর আঘাত হানে ইরান ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগে 99 শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই গুলি করে নীচে নামায় ইজরায়েল ৷ এরপর আরও আগ্রাসী হওয়ার বার্তা দেয় ইরান ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে একটি বৈঠকে বসে জি-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতারা ৷ বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায়, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হয় ৷
একইসঙ্গে ইরানের এই আগ্রাসনের সর্বোচ্চ নিন্দা করে ইজরায়েল মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, গাজায় সংকট মেটাতেও একে অপরকে সহযোগিতার বার্তা দিয়ে জি-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি ৷ বন্ধু দেশ ইজরায়েলে ইরানের অতর্কিতে হামলার বিষয়ে আলোচনা করতে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহকেও টেলিফোন করেন বাইডেন ৷ পাশাপাশি হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ইরানের আচমকা হামলা রুখতে ইজরায়েলকে সহযোগিতা করার জন্য দেশের 494 এবং 335তম ফাইটার স্কোয়াড্রনস সদস্যদের কথা বলেও তাঁদের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷
অন্যদিকে ইজরায়েলের অনুরোধে রবিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ ড্রোন-ব্যালিস্টিক হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের চার্টার এবং আন্তর্জাতিক আইন উল্লঙ্ঘন করেছে ইরান ৷ এই মর্মে রাষ্ট্রসংঘে জরুরি বৈঠকের আবেদন করে ইজরায়েল ৷ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেজ জানান, এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পিছু হটার সময় এসেছে ৷ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সকল সদস্য দেশেরই সমান দায়িত্ব বর্তায় ৷
আরও পড়ুন: