টেক্সাস, 27 অগস্ট: আরজি করে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে সামিল বিদেশের চিকিৎসকরাও ৷ 23 অগস্ট টেক্সাস মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকরা নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চেয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলেন ৷
প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসকদের অনেকেই ডাক্তারির পাঠ নিয়েছেন কলকাতা তথা রাজ্য তথা ভারতের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৷ তাঁদের কাছে এই ঘটনা যেমন ধিক্কারজনক, তেমনই ভারতীয় হিসেবে তাঁদের মাথা নত হয়ে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে ৷ এমনটাই জানালেন ওই প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক চিকিৎসক নীলাঞ্জনা বসু ৷ কাজের জায়গায় কী করে একজন চিকিৎসককে এভাবে হত্যা করা হল ? এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিদেশের চিকিৎসকরা ৷
9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে আমেরিকার হিউস্টন ও টেক্সাস মেডিক্যাল সেন্টারের বহু চিকিৎসক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেন ৷ তাঁদের অনেকে ভারতের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পাশ করেছেন ৷
সেই চিকিৎসকদের মধ্যে একজন ডাঃ নীলাঞ্জনা বসু ৷ তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন ৷ পরে তিনি ও তাঁর চিকিৎসক স্বামী আমেরিকায় চলে যান ৷ প্রবাসী এই চিকিৎসক বলেন, "সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আমরা সবাই স্তম্ভিত ৷ আমাদের ভাষা হারিয়ে গিয়েছে ৷ আমরা চিকিৎসকদের কমিউনিটির সবাই একমত যে, তিনি চিকিৎসক হন বা অন্য কেউ, এরকম একটা ঘটনা কোথাও কারও সঙ্গে হওয়া উচিত নয় ৷"
আরজি করের তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের প্রসঙ্গে ডাঃ নীলাঞ্জনা বসুর কথায়, "এই মেয়েটি তো চিকিৎসক, তিনি তাঁর ডিউটি করছিলেন ৷ তাঁর কাজের জায়গায় কোনও নিরাপত্তা নেই কেন ? আমরা হিউস্টনের বাসিন্দা ৷ এখানে সব চিকিৎসকরা মিলে টেক্সাস মেডিক্যাল সেন্টারে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছিলাম ৷ এটা একটা আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ- সবার কাছে আমার একটাই আবেদন, দোষীদের দ্রুত ধরা হোক, তারা যেন ছাড় না পায় ৷" তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যেন এরকম দুষ্কর্ম করার আগে মানুষ তিন বার নয়, দশ বার ভাববে ৷ ভারতের এই ঘটনায় আমাদের মাথা নত হয়ে গিয়েছে ৷"
টেক্সাস মেডিক্যাল সেন্টারে সামিল প্রতিবাদী চিকিৎসকদের হাতে ছিল 'ইউনাইট ফর জাস্টিস', 'ভায়োলেন্স এগেনস্ট ডক্টর্স', 'সেফটি ফর সেভিয়রস' লেখা প্ল্যাকার্ড ৷ বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা এই প্রতিবাদে অংশ নেন ৷