নয়াদিল্লি, 8 নভেম্বর: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাংবাদিক বৈঠক সম্প্রচারের কয়েকঘণ্টা পরই একটি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদসংস্থার সম্প্রচার বন্ধ করল কানাডা ৷ বৃহস্পতিবার ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, জয়শঙ্কর এবং অস্ট্রেলিয়ান বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের প্রেস কনফারেন্স সম্প্রচার করার কয়েকঘণ্টা পরেই ওই সংবাদমাধ্যমের দফতর বন্ধ করে দিল কানাডা ৷
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলি এবং অস্ট্রেলিয়া টুডে-র নির্দিষ্ট পেজগুলিকে যেভাবে ব্লক করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট, কানাডার এই পদক্ষেপ বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা বুঝতে পেরেছি যে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি, এই নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের পেজগুলিকে ব্লক করা হয়েছে ৷ কানাডায় দর্শকদের জন্য তা উপলব্ধ নয় ৷ এই পদক্ষেপগুলি পেনি ওংয়ের সঙ্গে এস জয়শঙ্কর প্রেস কনফারেন্সের মাত্র কয়েকঘণ্টা পরেই হয়েছে ৷”
একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, "আমরা বিস্মিত হয়েছি। এটা আমাদের কাছে অদ্ভুত লাগছে ৷ তবে এগুলির থেকে আবারও বাক স্বাধীনতার প্রতি কানাডার ভন্ডামিকে স্পষ্ট করে দিয়েছে ৷" এর আগে জয়শঙ্কর অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়ই কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না-থাকা সত্ত্বেও কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। জয়সওয়াল বলেন, "বিদেশমন্ত্রী তিনটি বিষয়ে কথা বলেছেন। তার মধ্যে একটি ভারতের বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কানাডা অভিযোগ করেছে ৷"
জয়শঙ্কর ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরের ঘটনাকে 'গভীরভাবে উদ্বেগজনক' হিসাবে বর্ণনা করেন ৷ জয়শঙ্কর মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, এটি কানাডায় চরমপন্থী শক্তিকে রাজনৈতিক স্থান দেওয়ার ফল ৷ কানাডার ব্রাম্পটনে খালিস্তানি পতাকা বহনকারী বিক্ষোভকারীরা হিন্দু সভা মন্দিরে ভক্তদের হেনস্থা করে ৷ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানও ভেস্তে দেয় তারা ৷ জয়সওয়াল বলেন, "আমরা ব্রাম্পটনের মন্দিরে হামলার নিন্দা করছি ৷ আমরা কানাডা সরকারকে আইনের শাসন বলবৎ রাখতে এবং যারা হিংসাত্মক কাজ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বলেছি। আশা করব, কানাডা সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।"