ETV Bharat / international

ভারতীয় বিমানে 'না', বিনা চিকিৎসায় কিশোরের মৃত্যুতে কাঠগড়ায় মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

India-Maldives Relations: মলদ্বীপের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে এক কিশোরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ৷ তাকে রাজধানী মালেতে উড়িয়ে আনার জন্য ভারতীয় এয়ারক্রাফ্টের প্রয়োজন ছিল ৷ খবর, তাতে সম্মতি দেননি প্রেসিডেন্ট মুইজু ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 21, 2024, 11:50 AM IST

ETV Bharat
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজু

নয়াদিল্লি ও মালে, 21 জানুয়ারি: প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকে সংকটজনক অবস্থায় এক কিশোরকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল ৷ তা হলেও অনেক দেরিতে ৷ শনিবার ওই কিশোরের মৃত্যু হয় ৷ এর জন্য মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুকেই দায়ী করেছে মৃত কিশোরের পরিবার এবং দেশের বিরোধী দল ৷ স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, ভারতের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু ৷ আর তাতেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে 14 বছর বয়সি কিশোর ৷ এরপর প্রেসিডেন্টকে বিরোধী দলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হল ৷ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছে ৷ তারই মাঝে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ৷

  • Media Statement: Regarding the Emergency Medical Evacuation Incident from GA Vilingili on January 18, 2024 pic.twitter.com/4weAjLEPPA

    — Aasandha Company Ltd (@AasandhaLtd) January 20, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অসুস্থ ছেলেটির পরিবার ভারতীয় বিমান ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টে ছেলেটিকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিল ৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রেসিডেন্ট মুইজু ৷ মলদ্বীপে এই ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টটি মানবিক কারণে জরুরি অবস্থায় কোনও যাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ এই বিমানটির নির্মাতা সংস্থা ভারতের হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা এইচএএল ৷

মলদ্বীপের মিডিয়া সূত্রের খবর, ওই কিশোর মলদ্বীপের প্রত্যন্ত গাফ আলিফ ভিলিংগিলি দ্বীপের বাসিন্দা ৷ তার মস্তিষ্কে টিউমার রয়েছে ৷ বুধবার, 17 জানুয়ারি রাতে ওই কিশোরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ৷ এরপর তার পরিবার তাকে তড়িঘড়ি বিমানে মালে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকে ৷ কিন্তু সারারাত তারা বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও কেউ উত্তর দেয়নি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিমান কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয় ৷ এদিকে সংকটজনক অবস্থায় কিশোর 16 ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল ৷ এরপর স্থানীয়রা এলাকার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ৷ পরে অবশ্য অসুস্থ কিশোরকে মালেতে নিয়ে এসে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ শনিবার তার মৃত্যু হয় ৷

" class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

নয়াদিল্লি ও মালে, 21 জানুয়ারি: প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকে সংকটজনক অবস্থায় এক কিশোরকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল ৷ তা হলেও অনেক দেরিতে ৷ শনিবার ওই কিশোরের মৃত্যু হয় ৷ এর জন্য মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুকেই দায়ী করেছে মৃত কিশোরের পরিবার এবং দেশের বিরোধী দল ৷ স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, ভারতের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু ৷ আর তাতেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে 14 বছর বয়সি কিশোর ৷ এরপর প্রেসিডেন্টকে বিরোধী দলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হল ৷ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছে ৷ তারই মাঝে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ৷

  • Media Statement: Regarding the Emergency Medical Evacuation Incident from GA Vilingili on January 18, 2024 pic.twitter.com/4weAjLEPPA

    — Aasandha Company Ltd (@AasandhaLtd) January 20, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অসুস্থ ছেলেটির পরিবার ভারতীয় বিমান ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টে ছেলেটিকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিল ৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রেসিডেন্ট মুইজু ৷ মলদ্বীপে এই ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টটি মানবিক কারণে জরুরি অবস্থায় কোনও যাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ এই বিমানটির নির্মাতা সংস্থা ভারতের হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা এইচএএল ৷

মলদ্বীপের মিডিয়া সূত্রের খবর, ওই কিশোর মলদ্বীপের প্রত্যন্ত গাফ আলিফ ভিলিংগিলি দ্বীপের বাসিন্দা ৷ তার মস্তিষ্কে টিউমার রয়েছে ৷ বুধবার, 17 জানুয়ারি রাতে ওই কিশোরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ৷ এরপর তার পরিবার তাকে তড়িঘড়ি বিমানে মালে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকে ৷ কিন্তু সারারাত তারা বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও কেউ উত্তর দেয়নি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিমান কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয় ৷ এদিকে সংকটজনক অবস্থায় কিশোর 16 ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল ৷ এরপর স্থানীয়রা এলাকার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ৷ পরে অবশ্য অসুস্থ কিশোরকে মালেতে নিয়ে এসে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ শনিবার তার মৃত্যু হয় ৷

" class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

অসুস্থ কিশোরের বাবা স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷ তিনি বলেন, "আমরা দ্বীপের বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম ৷ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর দ্রুত আমার ছেলেকে মালে নিয়ে যেতে হত ৷ কিন্তু ওরা কোনও সাড়া দেয়নি ৷ বৃহস্পতিবার সকাল 8.30 টার সময় ওরা ফোনের উত্তর দেয় ৷ এই ক্ষেত্রে একটা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার দরকার ছিল ৷"

এদিকে এই ঘটনার পর একটি বিবৃতি জারি করে আসান্ধা কোম্পানি লিমিটেড ৷ এই সংস্থাই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিমানের ব্যবস্থা করে ৷ কোম্পানি অবশ্য জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য এই দেরি হয়েছে ৷ ওই কোম্পানি বিবৃতিতে জানায়, "আমরা অত্যন্ত দুঃখিত ৷ 18 জানুয়ারি জিএ ভিলিংগিলি দ্বীপের বাসিন্দার চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে বিমানের প্রয়োজন ছিল ৷ তা করা যায়নি ৷ এর ফলে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৷ আমরা শোকতপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই ৷"

এদিকে এই ঘটনার পর সোশাল মিডিয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মলদ্বীপের সাংসদ মিকালি নাসিম ৷ তিনি লেখেন, "ভারতের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের প্রতিশোধের স্পৃহাকে চরিতার্থ করার জন্য মানুষের জীবন যাচ্ছে ৷ এটা কখনও হওয়া উচিত নয় ৷"

আরও পড়ুন:

  1. সেনা সরানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর মলদ্বীপকে পালটা নয়াদিল্লির
  2. ভারত বিরোধিতার জের ? মলদ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট মুইজুর দল
  3. ভারত বিরোধী মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত মুইজু সরকারের, দাবি মলদ্বীপের সাংসদের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.