ঢাকা, 29 জানুয়ারি: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি করেছিলেন, সেগুলি নিয়ে এবার আলোচনায় বসবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ৷ কারণ তারা মনে করে সেসবই বৈষম্যমূলক চুক্তি ৷ তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি । এমনই জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ৷
আগামী মাসে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ৷ সেই বিষয়ে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ইউনুস প্রশাসনের এই উপদেষ্ট ৷ সেখানে তিনি দু'দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় কাশির সিরাপ ফেন্সিডিলের উৎপাদন এবং তা মাদক হিসাবে পাচারের জন্য ভারতকেই দায়ী করেন ৷
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আলম বলেন, "ওরা (ভারত) ফেন্সিডিল উৎপাদন করে এবং তা বাংলাদেশে পাচার করে ৷ এদিকে ওরা দাবি করে যে ফেন্সিডিল একটা ওষুধ ৷ কিন্তু আসলে এটা মাদক হিসেবে তৈরি করা হয় ৷" বৈঠক বিষয়ে বলতে গিয়ে বুধবার ভারতের ঘাড়েই সীমান্ত পেরিয়ে ফেন্সিডিল বাংলাদেশে পাচারের দায় ঠেললেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ৷
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের 150 ইয়ার্ডের (450 ফুট) মধ্যে কোনও কাজ করতে হলে দু'দেশের সম্মতি নিয়ে করতে হবে ৷ একতরফা কোনও কিছু করলে তা মেনে নেওয়া হবে না ৷ এমনকী উন্নয়নের উদ্দেশে একটি মসজিদ বা মন্দির গড়তে হলেও দুই দেশের মন নেওয়া প্রয়োজন ৷
সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরপরাধ নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ৷ বিএসএফ ও ভারতীয়রা বাংলাদেশিদের অপহরণ করে আটকে রাখে বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ বৈঠকে এই বিষয়গুলি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ, জানান উপদেষ্টা ৷
তিনি বলেন, "সীমান্তে হিংসার ঘটনা বন্ধ করা, বিএসএফ বা ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ বন্ধের উপর জোর দেওয়া হবে ৷ পাশাপাশি ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, অস্ত্র, বিস্ফোরক পাচারের মোকাবিলার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে ৷" এছাড়া ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নদীগুলির জল সমানভাবে বণ্টন করা, জলচুক্তি কার্যকর কর, রহিমপুর খালের মুখ খুলে দেওয়ার মতো বিষয়িগুলিও উত্থাপিত হবে বিএসএফ-বিজিবি বৈঠকে ৷
