নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সে দেশের সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাস পর আন্দোলনের ঘোষণা করেছে ৷ বর্তমান ইউনূস সরকারকে 'অবৈধ ও অসাংবিধানিক' বলে উল্লেখ করে মহম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বড় ধরনের গণআন্দোলনের ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, 'ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে মাত্র ছয় মাসে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের মধ্যে ডুবে গিয়েছে। এই দেশ এখন একটি 'ব্যর্থ রাষ্ট্র'-এ পরিণত হওয়ার পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ৷ এখানে মানবাধিকার, সমতা ও জননিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির কোনও সম্মান নেই। আওয়ামী লীগ তার তৃণমূল স্তরের কর্মীদের ইউনূস সরকারের 'অপশাসন' এবং 'সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং ধর্মীয় বৈষম্যে সরকারের প্রশ্রয়'-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং নাগরিক নিরাপত্তাহীনতার মতো প্রধান বিষয়গুলিকে আন্দোলনের মাধ্যমে তুলে ধরতে চায় আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি, হাসিনার দল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ নাগরিকদের উপর হত্যা ও হামলা এবং বিচার বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারীর রাজনীতিকরণের নিন্দা করেছে।
মাস ছয়েক আগে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে 1 থেকে 5 ফেব্রুয়ারি লিফলেট বিতরণ, 6 ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ, 10 ফেব্রুয়ারি পথ অবরোধ এবং 18 ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ধর্মঘট।
ইতিমধ্যেই ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই অন্তর্বর্তী সরকারের একজন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। সেই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত ফের বাংলাদেশ অচলের ইঙ্গিত দিচ্ছে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের কূটনীতিজ্ঞরা ৷