করাচি, 7 অক্টোবর: বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৷ ঘটনায় 2 জন চিনা নাগরিক-সহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 8 জন ৷ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তানে চিনের দূতাবাস ৷
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত 11টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে একটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ৷ দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, করাচি বিমানবন্দরের কিছুটা দূরেই একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে চিন ৷ পোর্ট কাসিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির কর্মচারীদের একটি কনভয় কাজ সেরে ফিরছিল ৷ সেই সময়, তাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ তবে বিমানবন্দরের কোনও ক্ষতি হয়নি ৷
হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয় ৷ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ আহতদের চিকিৎসায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে নারাজ পাক প্রশাসন ৷
এদিকে, হামলার তীব্র নিন্দা করেছে চিন ৷ পাকিস্তানে চিনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়, পাকিস্তানে চিনা দূতাবাস ও কনস্যুলেট এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ৷ দুই দেশের নিহতদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করা হয় এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় ।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে ৷ আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ৷ তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পাকিস্তান সরকারের তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর ৷ ইতিমধ্যেই, হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ৷ তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও চিনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা ৷ যদিও পাকিস্তানি সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ৷
উল্লেখ্য, হাজার হাজার চিন শ্রমিক কাজ করেন পাকিস্তানে ৷ বেজিংয়ের 'ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড' প্রকল্পে কাজ করেন তাঁরা ৷ এর আগেও তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে বিএলএ ৷ তবে স্থানীয় প্রশাসনের মতে, এত বড় হামলা এর আগে কখনও হয়নি ৷