কলকাতা, 17 মে: শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নতুন নয় ৷ বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপের প্রবনতা বাড়ছে ছোটদের মধ্যে । এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন ! কেন না, একরত্তিদের এই উচ্চ রক্তচাপের নেপথ্যে একটা বড় অংশের ক্ষেত্রেই জিনগত বংশগতির কোনও লক্ষণই চোখে পড়েনি চিকিত্সকদের ৷ উল্টে দেখা গিয়েছে, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রভাবই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিচ্ছে ৷ বিশ্ব রক্তচাপ দিবসে এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ।
অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে ছোটদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় 'ইয়ং হাইপারটেনশন' । তবে শুধু স্ট্রেস নয়, এর জন্য সমানভাবে দায়ী দূষণ ও বর্তমান লাইফস্টাইল । এমনকি এই ইয়ং হাইপারটেনশনের সমস্যা দেখা যায় 14 থেকে 17 বছর বয়সিদের মধ্যেও ।
হাইপারটেনশন কী ?
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ (ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজিস্ট) চিকিৎসক প্রসূন হালদার বলেন, "যখন আর্টারির (ধমনী) ভেতর দিয়ে যখন রক্ত যায় সেই সময় ধমনীর দেওয়ালে একটা চাপ সৃষ্টি করে । আমাদের কাছে এর একটা নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে । সেই চাপ যদি তার চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে । এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বোঝার বেশ কিছু লক্ষণ আছে । যেগুলি হল, অসহ্য মাথা যন্ত্রনা, একটু আওয়াজজেই মাথা ধরে যাওয়া, বুকে যন্ত্রনা, মাঝে মধ্যেই নাক থেকে রক্ত বের হওয়া, ক্লান্তি ভাব এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া ।"
চিকিৎসকের কথায়, এই সমস্যা অত্যন্ত ভয়াবহ ! যদি ঠিক সময় চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাছাড়া, এই রোগের ফলে স্ট্রোক এবং আনুসাঙ্গিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় । ফলে এই রোগের যথাযথ চিকিৎসা সময় মতো শুরু করা দরকার । কিন্তু, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে এই চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব ? ডাঃ হালদার জানান, এর জন্য প্রথমেই জীবনযাত্রায় বেশ কিছু বদল আনা জরুরি । এই বদলের অর্থ হল, কম কার্বোহাইড্রেট, লবণ জাতিয় খাবার নির্দিষ্ট মাত্রায় খেতে হবে । কম ফ্যাট জাতিয় খাবার তার সঙ্গে রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে । তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, অত্যাধিক স্ট্রেস এড়িয়ে চলা দরকার । তার সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ।
আরও পড়ুন: