হায়দরাবাদ: তৈলাক্ত মশলাদার খাবার খেলে হাজার একটা শারীরিক সমস্যা হতে পারে, বিশেষজ্ঞরা এমন কথাই বলে থাকেন । তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার সময় যতই সুস্বাদু হোক না কেন, এগুলি খাওয়ার পর অনেক ধরনের সমস্য়া হতে পারে । তাই এগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত । যদি খাওয়াও হয় বিশেষজ্ঞরা এই কাজগুলি করার পরামর্শ দেন ৷
হাঁটাহাঁটি: শুধু তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরেই নয়, প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরেই হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভুল করেও এই খাবার খাওয়ার পর বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয় । তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর 30 মিনিট হাঁটা প্রয়োজন । এতে আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হজম হয় ।
হালকা গরম জল: বলা হয় তৈলাক্ত খাবার গ্রহণের কিছুক্ষণ পর সঠিক পরিমাণে হালকা গরম জল পান করতে হবে । বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা গরম জল পান করলে হজমশক্তি ভালো হয় ।
আঁশযুক্ত খাবার: তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর গরম জলের সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাওয়া খুবই ভালো । এই জাতীয় ফল খাওয়ার মাধ্যমে, আমাদের শরীরের অঙ্গগুলি বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে সহায়তা করে ।
গ্রিন টি: বিশেষজ্ঞরা বলেন, "তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর গ্রিন টি পান করলে স্বস্তি পাওয়া যায় । কারণ গ্রিন টি ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ । এগুলি পাচনতন্ত্রের অক্সিডেশনের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুব সহায়ক । 2016 সালে আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিনগুলি চর্বি হজমের উন্নতি করতে ও রক্তে চর্বির মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে । যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফিজিওলজিস্ট অ্যান্ড্রু ব্র্যাডলি হাডসন (এবি হাডসন) এই গবেষণায় অংশ নেন । তিনি বলেন, "গ্রিন টি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় ।"
প্রো-বায়োটিক খাবার: প্রো-বায়োটিকের সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার জন্য অল্প পরিমাণ জিরে ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন । এটি সঠিক মলত্যাগেও সাহায্য করে । দই একটি প্রোবায়োটিক । এছাড়াও এটি অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সহায়তা করে ।
আরও পড়ুন: