কলকাতা: ভিটামিন সি এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য শুধু একটি নয়, অনেক কারণেই অপরিহার্য । এর ঘাটতির কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, ত্বক নিষ্প্রাণ দেখা, কম কোলাজেন উৎপাদন ইত্যাদি অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে । অতএব আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বা পানীয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ৷ কারণ আমাদের শরীর ভিটামিন সি সংরক্ষণ করতে সক্ষম নয় । জেনে নিন, এমন কিছু পানীয় যা আপনার ভিটামিন সিয়ের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে ৷
কমলালেবুর শরবত: কমলালেবু ভিটামিন সিয়ের অন্যতম সেরা উৎস । তাই এর তাজা রস পান করলে ভিটামিন সি-এর অভাব দূর হয় । এতে পটাশিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডও পাওয়া যায় যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে । এছাড়া এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও বাড়ায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।
আনারসের শরবত: আনারসের রস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাশাপাশি এর প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ঠ্য ব্রণ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ৷ এটি পান করলে কোলাজেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পাইন আপেলের জুস পান করা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে ।
লেবু এবং পুদিনার শরবত: লেবু ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস । এছাড়াও পুদিনা নানা গুণের ভাণ্ডার । লেবু পুদিনা শরবত খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্যও উপকারী ৷ তাই লেবু ও পুদিনার শরবত পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে । জলে লেবু ও পুদিনা মিশিয়ে পান করলেও শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং হাইড্রেটেড রাখে ৷ যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । তাই লেবু ও পুদিনা জল পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।
আমলকি জুস: আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের জন্য উপকারী । এছাড়াও আমলকির রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৷ চুল ঘন হয় এবং হজমশক্তিও উন্নত হয় । আমলকির রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
কিউই স্মুদি: কিউইতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ৷ যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে । এছাড়া এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ৷ যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । তাই কিউই স্মুদি পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে ।
https://ods.od.nih.gov/factsheets/VitaminC-HealthProfessional/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)