কলকাতা: আজকের জীবনধারায় বেশিরভাগ মানুষই তাদের খাদ্যতালিকায় অস্বাস্থ্যকর জিনিস রাখেন ৷ সেটা তাঁদের না জানার কারণেও হতে পারে আবার ব্যস্ততার জন্যও হতে পারে ৷ বাজারজাত যে কোনও খাবারের জিনিসে চিনি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, বীজের তেল এবং এমন অনেক রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় যেগুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম ।
মুড সুইং: মস্তিষ্কে বার্তা স্থানান্তরকারী রাসায়নিকগুলি অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি । প্রোটিন গ্রহণ কম হলে, এই সংকেতগুলি প্রভাবিত হয় এবং শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে ৷ যার ফলে মেজাজ পরিবর্তন হয় । এমন পরিস্থিতিতে সময়মতো জেনে নেওয়া জরুরি আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে ।
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: প্রোটিন গ্রহণ কমানোর এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ করতে শুরু করেন । ফলে এর অভাবে পেশীগুলির বিকাশ হয় না ৷ যা শরীরের ভারসাম্য, অঙ্গবিন্যাস, বিপাক এবং কার্যকলাপের মাত্রা হ্রাস করে । এরফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয় ।
খিদের সমস্যা: প্রোটিন তিনটি প্রধান খাদ্যের একটি প্রধান অংশ যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করে । ক্যালোরি এবং চর্বি-সহ প্রোটিন আপনাকে পরবর্তী খাবারের জন্য পূর্ণ বোধ করে । প্রোটিনের অভাবে অপ্রয়োজনীয় খিদে লাগে যা অতিরিক্ত খাওয়া এবং ওজন বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে ।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম: ভিটামিন সি এবং জিঙ্কের মতো প্রোটিনও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যদি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এন আই এইচের গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রোটিনের ঘাটতি হজম বা কার্যকরভাবে অ্যামিনো অ্যাসিড ভেঙে ফেলার অক্ষমতার কারণে ঘটে । যখন খাদ্য প্রোটিনগুলি ভালোভাবে হজম হয় না, তখন সেটি অ্যান্টিজেন হিসাবে কাজ করতে পারে যারফলে খাদ্য প্রোটিন অ্যালার্জি হয় । প্রায়শই, গরুর দুধের প্রোটিন শিশুকালে খাদ্য অসহিষ্ণুতার কারণ । খাদ্য-প্রোটিন-প্ররোচিত এন্টারোকোলাইটিস সিন্ড্রোমকে সাধারণত গরুর দুধের প্রোটিনের অসহিষ্ণুতার জন্য দায়ী করা হয় । আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়রিয়া, শোথ এবং হাইপোঅ্যালবুমিনেমিয়া থাকে। বয়স বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাবারের প্রবর্তনের ফলে বিভিন্ন সসম্যা হয় ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK562306/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)