ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণ ! মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকি পড়শি যুবকের

ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ধৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা । তাঁদের দাবি, যুবক কেবল দশম শ্রেণির ছাত্রীর হাত ধরে টেনেছে ৷

হিঙ্গলগঞ্জ, 28 জানুয়ারি: ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে । শুধু ধর্ষণ করাই নয় ! উঠেছে নির্যাতিতা নাবালিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে । অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

ধৃত রফিক মোড়লের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ । যদিও ধৃত যুবকের পরিবারের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে । পালটা নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন তাঁরা ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী । সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিল সে । তার মা, বাবা এবং দাদা কাজের সূত্রে বাইরে বেরিয়েছিলেন । সেই সুযোগে কিশোরীর বাড়িতে ঢোকে প্রতিবেশী ওই যুবক । অভিযোগ, নাবালিকাকে একা পেয়ে তখনই তাঁকে ধর্ষণ করেন তিনি । এরপর, নির্যাতিতা ওই নাবালিকা কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান সেখান থেকে । পালানোর আগে তিনি নাবালিকাকে হুমকি দিয়ে বলে যান, কাউকে কিছু জানালে এর ফল ভালো হবে না ৷

স্বভাবতই হুমকির জেরে ভয়ে প্রথমে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাতে দ্বিধাবোধ করে নাবালিকা । পরে, অবশ্য সাহস করে পড়শি যুবকের এই 'কীর্তি'র কথা খুলে বলে সে । এরপরই নির্যাতিতার বাবা গোটা ঘটনাটি জানায় স্থানীয় লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনদের । তাঁদের পরামর্শে রাতেই হিঙ্গলগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ।

এদিকে, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত রফিক মোড়লকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সেই সঙ্গে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায় ৷ এই বিষয়ে নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, "ঘটনার সময় ওই নাবালিকা বাড়িতে রান্না করছিল । সেই সময় ও'কে একা পেয়ে প্রতিবেশী ওই যুবক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় । ঘটনাটি জানাজানি হতেই ফাঁপরে পড়ে এখন সে তাঁর দোষ অস্বীকার করছে । আমরা চাই, অভিযুক্তের যেন কঠোর শাস্তি হয় । তা না হলে আবারও সে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে ।"

যদিও নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা । তাঁদের দাবি, "মেয়েটির বাবা মাছ ব‍্যবসায়ী । সেই কারণে ওই যুবক তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল মাছ আনতে । তখন মেয়েটির কাছ থেকে সে একটি লাইটার চেয়েছিল নেশা করবে বলে । শুধুমাত্র হাত ধরেছিল তাঁর । আর সেটাই ধর্ষণের অভিযোগ বলে প্রচার করে দেয় নির্যাতিতার বাবা । ছেলেটি সম্পূর্ণ নির্দোষ । তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ।" এনিয়ে সঠিক তদন্ত-ও চেয়েছেন ওই যুবকের পরিবার ।

অন‍্যদিকে, ধৃত যুবককে মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ । সেই সঙ্গে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি এবং শারীরিক পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে ।