কলকাতা: শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য কিছু ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন হয় । এই ভিটামিনগুলির অভাব হলেই নানাবিধ অসুখ বাসা বাঁধে । তেমনি শরীরের জন্য ভিটামিন বি 12 গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই ভিটামিনের অভাবে শারীরিক, স্নায়বিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
প্রাথমিকভাবে ঘাটতির কোনও ইঙ্গিত নাও থাকতে পারে । যদি উপসর্গগুলিকে সুরাহা না করা হয়, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি আরও খারাপ হতে পারে । ভিটামিন B12 এর অভাবের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে পারে ৷
কেয়ার হাসপাতালের পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, অত্যন্ত ক্লান্ত বা দুর্বল বোধ করা, বমি বমি ভাব, বমি বা ডায়রিয়া, হাত ও পায়ে সম্ভাব্য অসাড়তা বা কাঁপুনি, বিষণ্ণ এবং উত্তেজিত বোধ, ওজন হ্রাস, দৃষ্টি সমস্যার, হলুদ ত্বক, অবাধে কথা বলতে বা চলাফেরা করতে অসুবিধা হওয়া, মনে রাখতে না-পারা ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে ভিটামিন বি 12 এর অভাবে ৷
অল্প সময়ে রাগ, ভালোবাসার মতো বিভিন্ন আবেগ প্রকাশ করা এক ধরনের মানসিক রোগ ৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, অপুষ্টির কারণে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি । তবে শরীরে মেজাজ খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ হল ভিটামিন B12 এর অভাব ৷ ভিটামিন বি 12 লোহিত রক্তকণিকা গঠনে ও স্নায়ুর সঠিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে ।
2018 সালে 'মায়ো ক্লিনিক রিসার্চ' জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভিটামিন B12, B6, ফোলেট ইত্যাদির মাত্রা কম থাকলে বিষণ্নতার ঝুঁকি থাকে । সেন্ট লুই ডাঃ ড্যানিয়েল হল-ফ্ল্যাভিন এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিটামিন বি 12 এর ঘাটতি সাধারণত নিরামিষাশীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । এছাড়াও বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায় । বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যাঁরা ভিটামিন বি 12 এর অভাবে ভুগছেন তাদের ঘন ঘন মুরগির মাংস, দুধ এবং মাছ খাওয়া উচিত । এছাড়াও খাবারে দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, লেটুস, বিট, পনিরের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷