কলকাতা: শিশুদের জন্য দুধ অপরিহার্য । এর পুষ্টি উপাদান শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটের চাহিদা মেটানো ছাড়াও, এক গ্লাস দুধ বিপাক বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতেও সহায়ক ।
একজন মায়ের স্তন্যপান করানো সহজ নয় ৷ এরজন্য মহিলাদের শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটতে থাকে ৷ চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই সঙ্গে শরীরে শক্তি ক্ষয়ও হয় । অনেকেই শারীরিক সমস্যার কারণে শিশুকে স্তনপান করাতে পারেন না ৷ এর পরিবর্তে প্যাকেটজাত গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করেন ৷ সেই দুধে সামান্য হলেও চিনি মেশনো থাকে ৷ এছাড়াও, গ্লুকোজ জাতিয় উপাদান মেশানো থাকে ৷ শিশুকে এই দুধ দেওয়া কতটা সঠিক ? জেনে নিন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত ৷
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপর্ণা ভাতসভাই বলেন, "এক বছর বয়সের পর থেকে শুধুমাত্র ক্যানের দুধ নয়, গরুর দুধ ও প্যাকেটের দুধও দেওয়া যেতে পারে ৷ শিশুরা যদি চিনি ছাড়া দুধ পান করে, তাহলে তো কোনও সমস্যাই নেই । কিন্তু শিশু যদি দুধ না খেতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাতে সামান্য চিনি দেওয়া যেতে পারে ৷ যদিও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিশুদের চিনি না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফুল ক্রিমযুক্ত দুধ দিতে পারেন ৷"
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা দিনের যে কোনও সময় দুধ পান করতে পারে । কারণ, চিকিৎসকরা জানান, দুধ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই শিশুদের যে কোনও সময় দুধ দেওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ পান করা শিশুদের ক্ষুদা মেটানোর পাশাপাশি, তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে ।
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6213151/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)