হায়দরাবাদ: বর্তমানে সবাই নিজের জীবনে দ্রুত গতিতে যেন ছুটছে । বর্তমান প্রজন্ম উইকএন্ড কাটাতে চায় একটু অন্যভাবে ৷ বাইরের সময় কম কাটিয়ে মুখ গোঁজা থাকে স্ক্রিনের দিকে ৷ একই সময়ে একাধিক কাজ করে থাকি আমরা ৷ তেমনই টিভি স্ক্রিনে প্রিয় সিনেমা চালিয়ে শেষ করি বাটি বাটি স্ন্যাক্স ৷ এই অভ্যাস অজান্তেই ডেকে আনছে বড় বিপদ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷
নন-ভেজ খাওয়া, একা থাকা, টিভি বা সিরিজে ডুবে থাকার সময় স্ন্যাক্স খাওয়ার প্রবণতা কিংবা অবসরে ঘুমানো ৷ এগুলির কারণে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকি ৷ চিকিৎসকেরা বলছেন, টিভি দেখার সময় স্ন্যাক্স খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে (Side Effects of Eating Snacks While Watching Tv) ৷
অনেকে সপ্তাহের যে কোনও সময় চিকেন কিংবা মাটন খেয়ে থাকেন ৷ ফলে স্নাক্সে নন ভেজ পকোড়াও খেয়ে থাকেন ৷ বেশি মাংস খেলে নিঃসন্দেহে শরীরে বেশি পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ হয় ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব বেশি মাংস খাওয়াও উচিত নয় ৷ বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে শরীরে।
অনেকে সিঙ্গল থাকেন বা থাকতে পছন্দ করেন ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, একা থাকায় সাময়িক সুখের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি খারাপ পরিণতিই বেশি । অনেক গবেষণায় এটি সত্য প্রমাণিতও হয়েছে । মানসিক চাপের কারণেও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো পরিণতি ঘটতে পারে সিঙ্গল থাকার কারণে । তাই একা না-থেকে দশ জনের সঙ্গে থেকে মজা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা ।
কাজের সময় ঘুম না-হওয়া স্বাভাবিক । কিন্তু অনেকে কাজ না-করেও মধ্যরাত পর্যন্ত টিভি ও মোবাইলে সময় কাটান । বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা মোটেই ভালো অভ্যাস নয় । কোনও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ছাড়া সাত ঘণ্টা ঘুমানো সবসময় উপযুক্ত ।
টিভি দেখার সময় স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খাওয়া একটি নেশার মতো । স্ন্যাক্সের সঙ্গে ঠান্ডা পানীয়ও পান করে থাকেন ৷ এভাবে চলতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে ৷ এছাড়াও গ্যস, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা যায় ৷
2015 সালে জার্নাল অফ দ্য অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্স (Journal of the Academy of Nutrition and Dietetics) প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা যায়, টিভি দেখার সময় খাওয়া হজমের সমস্যা যেমন বদহজম, গ্যাস এবং ফোলাভাব বৃদ্ধি করে । পারডু ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও ডায়েটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডঃ ডরোথি এম ক্র্যাম্প এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ।