নয়াদিল্লি, 19 মার্চ: মানবদেহে ইবোলা ভাইরাস কীভাবে পুনরুত্পাদন করে তা বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন । তাঁদের ব্যাখ্যা, যা রোগ প্রতিরোধের জন্য নতুন ওষুধের সৃষ্টিতে সহায়তা করবে । এই গবেষণায় বিপজ্জনক ভাইরাসের নিয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে ৷ যা আফ্রিকা মহাদেশের মানুষের কাছে আশীর্বাদ বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ বিশ্বের মধ্যে এই ভাইরাসে সবেচেয়ে প্রভাব পড়েছে ৷
ইবোলা একটি ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর। এটি ইবোলা ভাইরাস জেনাসের বিভিন্ন উপপ্রকার দ্বারা সৃষ্ট। এই রোগে আক্রান্তদের প্রথমে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দেয় । পরবর্তীতে এটি বমি, রক্তপাত এবং স্নায়বিক রোগের দিকে পরিচালিত করে । এমনকি অতিমারির মতো প্রাদুর্ভাবও হতে পারে। এই কারণে মৃত্যুর হার বেশি । এই রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে (Ebola has become a major threat to public health) ৷
কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করেছেন । তাঁরা পরীক্ষামূলক এবং গণনামূলক পদ্ধতির সাহায্যে মানুষের মধ্যে ইউবিকুইটিন চেইনের সঙ্গে ইবোলা ভাইরাসের VP35 প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া পরীক্ষা করেন । এটি ভেঙে ফেলা রাসায়নিকগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে । VP35 মানবদেহে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা ৷
বিজ্ঞানীরা ইবোলা ভাইরাস এবং মানুষের ইমিউন সিস্টেমের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন । মানুষের ইমিউন সিস্টেম পরিবর্তন করে ৷ সবশেষে বিজ্ঞানীরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, গবেষণাটি ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ ও ওষুধ প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে ৷
আরও পড়ুন: