হায়দরাবাদ: কারি পাতা যে কোনও দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের প্রাণবন্ত । এর শক্তিশালী সুবাস প্রতিটি খাবারের স্বাদ বাড়ায় । ডাল, সাম্বার, চাটনি, উপমা, দোসা, পোহার মতো অনেক খাবারের স্বাদই কারি পাতা ছাড়া অসম্পূর্ণ। কিন্তু স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি কারি পাতার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে ৷ যা শুধু পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে । আসুন জেনে নেই কারি পাতার আশ্চর্য উপকারিতা ৷
কফ অপসারণ: কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি কাশি প্রতিরোধ করতে সক্ষম ।
রক্তের ক্ষতি দূর করে: কারি পাতায় পাওয়া ফলিক অ্যাসিড রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে ।
ডায়াবেটিসে উপকারী: ডায়াবেটিস রোগীদের কারি পাতা চিবানো উচিত ৷ এটি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে । রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কারি পাতা ।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: কারি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে ।
চোখ ভালো রাখে : কারি পাতায় ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ছানি রোগ প্রতিরোধ করে ।
বমি ভাব থেকে মুক্তি : কারি পাতা চিবানো গর্ভবতী মহিলাদের সকালের অসুস্থতা এবং বমির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ।
চকচকে চুল: কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ, বি এবং ই চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পড়া কমায় ।
ত্বকের যত্ন নিন: কারি পাতা ফ্রি র্যাডিকেল থেকে ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক । এটি ত্বকে দৃশ্যমান সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমাতেও সহায়ক ।
ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়: কারি পাতায় উপস্থিত কার্বাজোল অ্যালকালয়েডের মতো যৌগগুলিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ যা অনেক ধরণের ক্যানসার থেকে রক্ষা করে ।
হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করুন: কারি পাতা রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড উভয় মাত্রাই কমায় । এছাড়াও, একটি ভালো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হওয়ায় এটি কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে, যা হার্টের ধমনীতে প্লাক জমাতে বাধা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি দূর করে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)