হায়দরাবাদ: আজকের লাইফস্টাইলে প্রতিটি দ্বিতীয় ব্যক্তি মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াই করছে । সারাদিনের তাড়াহুড়োতে অনেক কারণেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ৷ তবে এই খারাপ মেজাজ কখন খারাপ মেজাজে পরিণত হয় সেদিকেও মনোযোগ দেওয়া জরুরি । খারাপ মেজাজ শুধুমাত্র আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না ৷ এটি আপনার আশেপাশের মানুষের জন্যও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ।
বিরক্তির কারণে মানুষ প্রায়শই অন্য ব্যক্তিকে এমন কথা বলে যা সম্পর্ক নষ্ট করে । আপনি কি জানেন শরীরে হ্যাপি হরমোনের অভাব এর জন্য দায়ী ? এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন, এমন কিছু খাবারের কথা যা আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ৷ আপনি শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারেন এবং আপনার সামাজিক জীবনকে সুস্থ রাখতে পারেন । আসুন তাদের সম্পর্কে জানি ।
বাদাম খাওয়া: বীজ এবং বাদাম খাওয়া শরীরে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে । যেহেতু এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে ৷ তাই আপনি এগুলি খাওয়ার মাধ্যমে হতাশা বা মানসিক চাপ কমাতে পারেন । চিয়া বীজ, কুমড়োর বীজ, কাজু, বাদাম ইত্যাদি আপনার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে ।
প্রোবায়োটিক খাবার: পনির, দই এবং ভেজানো সয়াবিনের মতো জিনিসগুলি প্রোবায়োটিক খাবারের অন্তর্ভুক্ত । এগুলি খেলে আপনার মেজাজ ভালো হয়, কারণ এগুলি খেলে শরীরে কিছু হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনাকে ভালো বোধ করতে পারে ।
স্যামন মাছ: স্যামন মাছ খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো বলে মনে করা হয় । আপনি যদি নন-ভেজের সেরা বিকল্প খুঁজছেন তবে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য সালমন একটি দুর্দান্ত বিকল্প । এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় । আপনি যদি এটি খান তবে আপনি বিষণ্নতার লক্ষণগুলিও কমাতে পারেন ।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, বাঁধাকপি, মটর এবং শশা সব সবুজ শাক সবজিতে ম্যাগনেসিয়াম ভালো পরিমাণে পাওয়া যায় । এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি এগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেন তবে এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং মেজাজ উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে ।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আপনার স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও কমাতে পারে । এর জন্য কমলা, লেবু, আনারস, কিউই ও বরই জাতীয় ফল খেতে পারেন । এ ছাড়া ঘুমের অভাবও খারাপ এবং খিটখিটে মেজাজের একটি বড় কারণ । আপনার শরীরে সুখী হরমোন তৈরির জন্য কমপক্ষে 8 ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন । এটি শুধু মনকে শান্ত রাখে না, সারাদিনের কাজের জন্য উৎপাদনশীলতাও বাড়ায় ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)