দুর্গাপুর, 28 জানুয়ারি: টন টন কয়লা বস্তাবন্দি হয়ে সাইকেল ও মোটরসাইকেলে করে দেদার চুরির অভিযোগ । সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো । যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানার সাউথ শ্যামলা কোলিয়ারির দু'নম্বর পিটের এই ছবিতে তোলপাড় জেলার রাজনীতি । প্রশ্ন উঠছে কয়লা খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ বাহিনী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ।
আসানসোল- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে 'কালো হিরে'র বেআইনি কারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে ৷ তাতে ইতিমধ্য়ে তোলপাড় হয়েছে এই বঙ্গের রাজনীতি ৷ কিন্তু কয়লা চুরি কি বন্ধ হয়েছে ? এবার সোশাল মিডিয়ায় কয়লা চুরির ভাইরাল ভিডিয়ো ফের একবার সেই প্রশ্নই খাড়া করে দিল ৷ ওয়াকিবহলমহল বলছে, শুধু ধরনটা একটু বদলেছে চোরেদের ৷ ছবিটা একই রয়ে গিয়েছে পাণ্ডবেশ্বরের সাউথ শ্যামলা কোলিয়ারির দু'নম্বর সাইডিংয়ের।
অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল হলেই কখনও সাইকেল করে, কখনও অন্য পথে কৌশলে কয়লা চুরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় এখানে ৷ তাও আবার পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে । প্রচুর লোকের সমাগম থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন যেন নীরব দর্শক ৷ আর সিআইএসএফ ও পুলিশের নজরদারির এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে দেদার টন টন কয়লা চুরি হচ্ছে পান্ডবেশ্বর এলাকায় বলে অভিযোগ বিজেপির । সোশাল মিডিয়ায় পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় এই বেআইনি কয়লা চুরির ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই এখন বিড়ম্বনাতে যেমন সিআইএসএফ ও পুলিশ, ঠিক তেমনই শাসকদল।
শাসকদলের মদত না থাকলে এই চুরি হতে পারে না ৷ পুলিশ ও তৃণমূলকে সেটিং করেই এই অপরাধ চলছে বলে অভিযোগ তুলছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, "এই কয়লা চুরির ভিডিয়ো থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে এখনও শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের মদতে এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে অবাধে কয়লা লুটপাট চলছে । জাতীয় সম্পত্তি এইভাবে প্রতিদিন চুরি হয়ে যাচ্ছে । পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে ৷ ইসিএলের আধিকারিকও জড়িত রয়েছে ৷ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ৷ আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কয়লা মন্ত্রীকে চিঠি দেব ৷ আগামিদিনে এই অঞ্চল নইলে শ্মশানে পরিণত হবে ৷"
বিজেপিকে পালটা তোপ দেগেছেন জেলা তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় । তাঁর কথায়, "বিজেপির বন্ধুদের বলতে চাই, কয়লা ও কোলেয়ারি রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর । কয়লা চুরির দায়ে ইসিএলের অনেক আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন ৷ এর থেকে প্রমাণিত হয় কয়লা চুরির ভাগের টাকা কাদের কাছে যাচ্ছে । তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ ৷"