হায়দরাবাদ: একটা সুস্থ স্বাভাবিক রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে থাকা অবশ্যই আমাদের কাছে ভীষণ আনন্দের ৷ তবে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অনেক চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হতে হয় ৷ একটি সম্পর্কে কেবল কথা বলা, একসঙ্গে সময় কাটানো ও হাসিমুখে থাকাই নয় ; পাশাপাশি অনেক নেতিবাচক দিকেরও সম্মুখীন হতে হয় ৷ সেগুলি কাটিয়ে উঠতে পারলেই সুখী গৃহকোণ ৷
এই বিষয়ে এক মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ কয়েকটি নীতির পরামর্শ দিয়েছেন ৷ যা আপনার সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করতে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ।
যোগাযোগ: একে অপরের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন হল প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ৷ আপনার মনে যত কঠিন জিনিসই চলুক না কেন তা পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করুন ৷ বিষয় ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক, মনের কথা খুলে বলা সম্পর্ককে সহজ করে তোলে ৷ আপনার প্রতিটি ভাবনা চিন্তা জানার অধিকার রয়েছে সঙ্গীর ৷ তাই অন্য কাউকে বলার পরিবর্তে সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন ৷ কথা বললে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব ৷
রাগ পুষে রাখবেন না: খুব খারাপ অভ্য়াসের মধ্যে একটি হল আবেগ, রাগ বা কথা চেপে রাখা ৷ মনের কোনও ক্ষোভ 'পরে বলব' এই কথাটির মধ্যে দিয়েও প্রকাশ পায় ৷ রাগ হোক বা অন্য কিছু কখনওই তা মনের মধ্যে পুষে রাখবেন না ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঙ্গীর কাছে নিজের আবেগ প্রকাশ করুন ৷ তা ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক না কেন, বিষয়টি খুলে বলুন ৷ শান্ত মনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন দু'জনে ৷
নিজের সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখুন: সম্পর্কের সুস্থতার জন্য কিছু ব্যক্তিগত জিনিস গোপন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কখনওই বিশদে তা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না ৷ কারণ এটি আপনাদের সম্পর্কের বন্ধনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ৷ এটি অন্যদের জানানোও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি কারও কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । আর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করে ৷
সীমানা সম্পর্কে সচেতন হোন: অন্য ব্যক্তিটি সঙ্গী হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনাদের দুজনের মধ্যে কোনও সীমানা থাকবে না । এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সম্পর্কে থাকলেও আপনাদের আলাদা ভালো লাগা, খারাপ লাগা থাকতে পারে ৷ তাই একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করার আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখুন ৷
সম্মান: সুস্থ ও স্বাভাবিক সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল একে অপরকে সম্মান দেওয়া ৷ আপনি যে মেজাজেই থাকুন না কেন, সঙ্গীকে সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । রেগে গেলেও আপনার সামনের মানুষটিকে অসম্মান করার অধিকার আপনার নেই । বরং অন্যদের সামনে সঙ্গীর প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধা বজায় রাখার চেষ্টা করুন ৷ সমালোচনা করুন, তবে যখন একান্তে থাকবেন কেবল তখন ৷
আরও পড়ুন: