কলকাতা: ঘাড়ে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে । ফলস্বরূপ, বেশিরভাগ মানুষ ব্যথানাশক এবং বিভিন্ন ধরণের ব্যথার মলম ব্যবহার করে থাকেন । যদিও এগুলি অসহ্য যন্ত্রণা থেকে কিছুটা উপশম দেয় ৷ বিশেজ্ঞরা বলে, তবে সেটি স্থায়ী সমাধান হয় না ।
রাতে ঘুমের সমস্যার বড় কারণ হতে পারে ঘাড়ের ব্যথা ৷ সকালে উঠেই অনেকের ঘাড়ে টনটন করে ব্যথা করে । কেউ কেউ বলেন, শোওয়ার দোষে এই ব্যথা হয় । কিন্তু আদৌ সবসময় শোওয়ার দোষ এর জন্য দায়ী থাকে কি । যদি ঘাড়ের ব্যথার সমস্যা থাকে তবে তা আপনাকে রাতে আরও বেশি বিরক্ত করবে ৷ এই ব্যথা একবারে আসে না ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিক্ষণ কম্পিউটারের সামনে ভুল ভঙ্গিতে বসে থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এছাড়াও কখনও কখনও গুরুতর মানসিক চাপ এবং অনিদ্রার মতো সমস্যাও ঘাড় ব্যথার কারণ হতে পারে । রাত জেগে ফোন ব্যবহারও ঘাড়ের ব্যথার কারণ হতে পারে ৷ কিছু টিপস অনুসরণ করে ঘাড় ব্যথা কমাতে পারেন । জেনে নিন, সেগুলি কী কী ?
আমেরিকায় হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং- এর প্রধান সম্পাদক ডাঃ হাওয়ার্ড ই লেভিন ঘাড়ের ব্যথা কমানোর জন্য় কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ৷
ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের কম্পিউটারের সামনে ভুল ভঙ্গিতে বসে কাজ করা উচিত নয় । ডেস্কটপটি সরাসরি আপনার দৃষ্টিতে থাকা উচিত ।
এছাড়াও নিশ্চিত করুন, কীবোর্ডটি হাতের কাছাকাছি যাতে ফিট থাকে । চেয়ার বেশি বাঁকানো, ঘাড় নিচু বা ওপর করে বসে থাকলে ঘাড়ের ব্যথা আরও বেড়ে যায় । তাই ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সঠিক ভঙ্গিতে বসা প্রয়োজন ।
যদি চশমা থাকে তবে সময়কাল অনুসারে সেগুলি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না । সঠিক চশমা না পরলে প্রায়শই ঘাড় পিছনের দিকে বাঁকিয়ে রাখেন অনেকে । এতে ঘাড়ের ব্যথা বাড়ে ।
কেউ কেউ রাতে ঘুমানোর আগে দুই বা তিনটি বালিশ ব্যবহার করেন । কিন্তু এই অভ্যাস ভালো নয় । এরফলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে । তাই নরম বালিশ থাকলে ভালো হয় ।
ঘাড়ে ব্যথার অন্যতম সমস্যা হতে পারে ভালো ঘুম না হওয়া ৷ তাই অন্তত 8 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন ৷ এছাড়াও জ্বর, ওজন হ্রাস, বাহু ও পায়ে ক্র্যাম্প এবং ঘাড়ের তীব্র ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ ।
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC8725362/
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2907992/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)