কিডনির সমস্যা খুবই কষ্টকর ৷ এটিকে এমন একটি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্মক রোগ বলে মনে করা হয় । কিডনির ক্ষতি একটি গুরুতর বিষয় । কিডনি রোগকে অনেকে নীরব ঘাতক বলা হয় । ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, "এমনকিছু খাবার যা কিনডির সমস্যার সমাধান করে ৷"
বিট: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং নাইট্রেট সমৃদ্ধ ৷ বিট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় । বিট আপনার শরীর এবং কিডনিকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে । যদি প্রতিদিন একটি বিট টুকরো করে কেটে স্যালাডে বা সবজি আকারে খান তবে এটি আপনার কিডনির জন্য খুবই উপকারী । এটি আপনার রক্ত সঞ্চালনও ভালো রাখে ।
ক্রানবেরি: ছোট দেখতে হলেও ওষুধেও চেয়ে কম নয় ৷ চিকিৎসকরা জানান, ক্র্যানবেরি আপনার কিডনিকে অনেক ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে যা কিডনির ক্ষতি করে । আপনার কিডনিকে অনেক ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে ৷ এই ফলটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ যা অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে । আপনি এটি স্যালাডে খেতে পারেন অথবা এর রসও পান করতে পারেন ।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু নামে পরিচিত এই ফলটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ । মিষ্টি আলু আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ করে । এটি আপনার রক্ত সঞ্চালনের জন্যও একটি দুর্দান্ত ফল ।
আদা: আদা সবার রান্নাঘরে খুব সহজেই পাওয়া যায় । আদা আমাদের রান্নাঘরের এমন একটি মূল্যবান জিনিস যা ঔষধি গুণে ভরপুর । চিকিৎসকরা জানান, আদা রোগ থেকে রক্ষা করে না বরং কিডনিকেও শক্তিশালী করে । আদার মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে চিনি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে । নিয়মিত আদা খেলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত হয় ।
হলুদ: এতে উপস্থিত পিত্ত উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং লিভারকে রক্ষা করে । কাঁচা হলুদ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ।
লো ফ্যাট ডেয়ারি প্রোডাক্ট: এরমধ্যে রয়েছে চিজ, মাখন ৷
আমন্ড: যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকে তবে বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত । প্রকৃতপক্ষে, এতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে এবং এটি কিডনির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় ।
মুসুর ডাল: মুসুর ডালে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন । যা কিডনির সমস্যার সমাধানে কার্যকরী উপায় ৷
সামুদ্রিক মাছ: স্যামন ও টুনা মাছ কিডনির জন্য উপকারী ৷
সবুজ শাকসবজি: পালং শাকে কিডনি শক্তিশালী রাখার জন্য অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে । যেমন- ভিটামিন এ, সি, কে, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল । চিকিৎসকরা জানান, সবুজ শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর অনেক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে । সবুজ শাকে উপস্থিত ফাইবার হজম শক্তি সুস্থ রাখে, যা কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি করে । এছাড়াও জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)