ETV Bharat / health

সার্ভিক্যাল ক্য়ানসার কতটা মারাত্মক ? কী বলছেন চিকিৎসকরা - Cervical Cancer - CERVICAL CANCER

Cervical Cancer: সার্ভিক্যাল ক্যানসারের অনেক লক্ষণ রয়েছে ৷ কী করে বুঝবেন আপনি ক্যানসারে আক্রান্ত কি না ? সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে তথ্য দিলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ইন্দ্রনীল খাঁন ৷

Cervical Cancer News
সার্ভিক্যাল ক্য়ানসার কি মারাত্মক হতে পারে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 14, 2024, 6:41 PM IST

হায়দরাবাদ: সার্ভিক্যাল ক্যানসার হল মহিলাদের জরায়ুর ক্যানসার । এটি যোনি, মূত্রাশয়, মলদ্বার থেকে ফুসফুসে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । সার্ভিক্যাল ক্য়ানসারের প্রথম যে বিষয় মাথায় আসে, যাদের মাসিক হচ্ছে না বা যারা প্রি-মেনোপোজ অবস্থায় পিরিয়ডের সময় ছাড়াও ব্লিডিং হচ্ছে ৷ এছাড়াও পোস্ট মেনোপোজেও হঠাৎ করেই ব্লিডিং শুরু হচ্ছে ৷

হঠাৎ করে একদিন ব্লিডিং হওয়া, মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়ে ফের সাতদিন পরে হওয়াকে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ বলা যেতে পারে ৷ আবার অনেকের ব্লিডিং নাও হতে পারে ৷ তার বদলে তলপেটে ব্যথা বা অনেকসময় হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদা পুঁজের মতো বের হতে পারে ৷ এটা একটা সাধারণ লক্ষণ হতে পারে ৷ এছাড়াও খিদে বা ওজন কমে যাওয়াও এই জাতীয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে ৷

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এই ক্যানসার শেষ স্টেজে না-গেলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ ফলে শরীরে এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা গেলেই প্রথমে টেস্ট করা প্রয়োজন ৷ টেস্টে ক্যানসার ধরা পড়লে তার স্টেজিংয়ের জন্য সিটিস্ক্যান করা হয় ৷ তবে যদি বোঝা যায় তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেক্ষেত্রে রেডিয়েশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ৷ এই রেডিয়েশন সম্পূর্ণ পেনলেস ট্রিটমেন্ট ৷ তার সঙ্গেই একটা মাইল্ড কেমোথেরাপি চলে ৷

তবে এটি নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর ৷ এটি সপ্তাহে একদিনও হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে তিনদিনও হতে পারে ৷ এর মধ্যে বয়সটাও একটা ফ্যাক্টর ৷ কারণ, বয়সভিত্তিক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চিকিৎসা করা হয় ৷ সাধারণত ট্রিটমেন্ট দু’মাসের মধ্যে করা হয় ৷ এই স্টেজে একটা ইন্টারনাল কেমোথেরাপি থাকে ৷ সেটাও খুব অসুবিধার হয় না ৷ খুব প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো একটা অপারেশনের বিষয় থাকে ৷ যদিও অপারেশন না করেও অনেকসময় রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ৷ যাতে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করাও সম্ভব হয় ৷

যখন সেকেন্ড ও থার্ড স্টেজে আসে, তখন অপারেশনের বদলে কনকারেন্ট কেমো রেডিয়োথেরাপি দিতে হয় ৷ শেষ পর্যায়ে যখন বলা হয় রোগটি ছড়িয়ে গিয়েছে অর্থাৎ ফোর বি স্টেজে সেটিকে কেমোথেরাপি দিয়ে রোগটি আর যাতে না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করা হয় ৷ তিনি বলেন, 80% এর বেশি মানুষ এই ক্যানসারে সুস্থ হয়ে ওঠেন ৷

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের আরও একটি বিষয় হল, এর আগে থেকেই প্রতিরোধ সম্ভব ৷ যদি অল্প বয়সে অর্থাৎ 12 থেকে 15 এই বয়সের কাউকে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের ভ্যাকসিন দিয়ে রাখলে এটি নিরাময় সম্ভব ৷ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে এই ক্যানসার হয় ৷ ফলে এই ভ্যাকসিন দিয়ে রাখলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব ৷

আরও পড়ুন:

  1. ব্রেকফাস্টে ভাত ! অজান্তেই শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না তো ?
  2. অ্যালকোহল আসক্তিতে প্রভাব পড়ে শরীর-মনে, প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসা
  3. বৈশাখী ভূরিভোজে পাতে থাকুক বড়ি আমতেল টক-সহ চাটনির অন্য়ান্য রেসিপি

হায়দরাবাদ: সার্ভিক্যাল ক্যানসার হল মহিলাদের জরায়ুর ক্যানসার । এটি যোনি, মূত্রাশয়, মলদ্বার থেকে ফুসফুসে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । সার্ভিক্যাল ক্য়ানসারের প্রথম যে বিষয় মাথায় আসে, যাদের মাসিক হচ্ছে না বা যারা প্রি-মেনোপোজ অবস্থায় পিরিয়ডের সময় ছাড়াও ব্লিডিং হচ্ছে ৷ এছাড়াও পোস্ট মেনোপোজেও হঠাৎ করেই ব্লিডিং শুরু হচ্ছে ৷

হঠাৎ করে একদিন ব্লিডিং হওয়া, মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়ে ফের সাতদিন পরে হওয়াকে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ বলা যেতে পারে ৷ আবার অনেকের ব্লিডিং নাও হতে পারে ৷ তার বদলে তলপেটে ব্যথা বা অনেকসময় হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদা পুঁজের মতো বের হতে পারে ৷ এটা একটা সাধারণ লক্ষণ হতে পারে ৷ এছাড়াও খিদে বা ওজন কমে যাওয়াও এই জাতীয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে ৷

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এই ক্যানসার শেষ স্টেজে না-গেলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ ফলে শরীরে এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা গেলেই প্রথমে টেস্ট করা প্রয়োজন ৷ টেস্টে ক্যানসার ধরা পড়লে তার স্টেজিংয়ের জন্য সিটিস্ক্যান করা হয় ৷ তবে যদি বোঝা যায় তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেক্ষেত্রে রেডিয়েশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ৷ এই রেডিয়েশন সম্পূর্ণ পেনলেস ট্রিটমেন্ট ৷ তার সঙ্গেই একটা মাইল্ড কেমোথেরাপি চলে ৷

তবে এটি নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর ৷ এটি সপ্তাহে একদিনও হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে তিনদিনও হতে পারে ৷ এর মধ্যে বয়সটাও একটা ফ্যাক্টর ৷ কারণ, বয়সভিত্তিক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চিকিৎসা করা হয় ৷ সাধারণত ট্রিটমেন্ট দু’মাসের মধ্যে করা হয় ৷ এই স্টেজে একটা ইন্টারনাল কেমোথেরাপি থাকে ৷ সেটাও খুব অসুবিধার হয় না ৷ খুব প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো একটা অপারেশনের বিষয় থাকে ৷ যদিও অপারেশন না করেও অনেকসময় রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ৷ যাতে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করাও সম্ভব হয় ৷

যখন সেকেন্ড ও থার্ড স্টেজে আসে, তখন অপারেশনের বদলে কনকারেন্ট কেমো রেডিয়োথেরাপি দিতে হয় ৷ শেষ পর্যায়ে যখন বলা হয় রোগটি ছড়িয়ে গিয়েছে অর্থাৎ ফোর বি স্টেজে সেটিকে কেমোথেরাপি দিয়ে রোগটি আর যাতে না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করা হয় ৷ তিনি বলেন, 80% এর বেশি মানুষ এই ক্যানসারে সুস্থ হয়ে ওঠেন ৷

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের আরও একটি বিষয় হল, এর আগে থেকেই প্রতিরোধ সম্ভব ৷ যদি অল্প বয়সে অর্থাৎ 12 থেকে 15 এই বয়সের কাউকে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের ভ্যাকসিন দিয়ে রাখলে এটি নিরাময় সম্ভব ৷ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে এই ক্যানসার হয় ৷ ফলে এই ভ্যাকসিন দিয়ে রাখলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব ৷

আরও পড়ুন:

  1. ব্রেকফাস্টে ভাত ! অজান্তেই শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না তো ?
  2. অ্যালকোহল আসক্তিতে প্রভাব পড়ে শরীর-মনে, প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসা
  3. বৈশাখী ভূরিভোজে পাতে থাকুক বড়ি আমতেল টক-সহ চাটনির অন্য়ান্য রেসিপি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.