কলকাতা: গ্যাস অম্বল সাধারণ বিষয় ৷ এমনকি অনেকের পেট গরমের মতো সসম্য়া হয় ৷ তারমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি যা একটা সমস্যার বিষয় হয়ে দাড়ায় ৷ পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । আপনিও কি এই সমস্যায় ভুগছেন ? এই সসম্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু পানীয় খাদ্যের অংশ করতে পারেন ৷
আমলকির রস: আমলকির ঔষধি গুণাগুণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । একইভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমলকি হজমের সমস্যার জন্য একটি ওষুধের মতো কাজ করে । এজন্য রাতে এক গ্লাস জলে সামান্য আমলকি গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখুন । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সেই জল ফুটিয়ে একটু ঠান্ডা করে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে । বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমতে সাহায্য় করবে ।
ক্যাস্টর অয়েল: বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে 5 থেকে 6 ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে । এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায় । আপনার যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা হজমশক্তি স্বাভাবিক না থাকে তবে আপনি দুধের পরিবর্তে গরম জলে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করতে পারেন ।
ত্রিফলা জল: বিশেষজ্ঞদের মতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ত্রিফলা গুড়ো হজমের সমস্যা কমাতে খুব ভালো কাজ করে । বলা হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ ত্রিফলা গুড়ো হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় । এর ঔষধিগুণ পেটের অমেধ্য বের করে দেয় ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে । ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ৷
জিরে জল: এক টেবিল চামচ জিরে ধুয়ে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন । সকালে সেই জিরে ভেজানো জল পান করুন ৷ এতে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করবে ৷
2013 সালে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন জিরে জল পান করেন তাদের কম কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব এবং বদহজমের সসম্যা ছিল । এই গবেষণাটি 'গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিস' (Gastroenterology Research and Practice) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৷ ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (RIMS) এর একজন বিখ্যাত পুষ্টিবিদ ডাঃ অজয় ঘোষ এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । তিনি বলেন, "জিরের ঔষধিগুণ হজমের সমস্যা কমাতে খুব ভালো কাজ করে ।"
ফ্ল্যাক্সসিড ওয়াটার: ফ্ল্যাক্সসিড ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর । এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো । সেজন্য রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম জল বা দুধে কিছু ফ্ল্যাক্সসিড ভিজিয়ে রাখুন । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এটি পান করলে ভালো ফল দেখতে পাবেন । এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে অনেকাংশে সাহায্য় করে ৷
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷