ETV Bharat / health

অটিজমের সমস্যায় সঠিক প্রচেষ্টায় পাওয়া যেতে পারে সুফল - Autism Spectrum Disorder - AUTISM SPECTRUM DISORDER

Autism Problem: শিশুদের মধ্যে অটিজমের ব্যবস্থাপনা একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে সঠিক পদ্ধতি, পরিবার ও সমাজের সমর্থন, প্রাথমিক শনাক্তকরণ, উপযুক্ত থেরাপি এবং সঠিক পরিবেশ তৈরি করে এটি সফলভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে ।

Autism Problem News
অটিজমের সসম্যা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 26, 2024, 10:54 AM IST

হায়দরাবাদ: অটিজম হল শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত এক সমস্যা। যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সমস্যা লক্ষ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বলে থাকেন। তবে সঠিক সময়ে শিশুদের মধ্যে এটি দ্রুত পর্যবেক্ষণ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, অটিজমের প্রভাব এক এক শিশুর ওপর এক এক রকম হয়ে থাকে ।

দিল্লির মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ আশিস সিং ব্যাখ্যা করেছেন যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা এএসডি এমন একটি ব্যাধি ৷ যার কারণে এটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া যোগাযোগ, কথা বলা এবং আচরণে সমস্যা হয় । এটি একটি জেনেটিক ডিসঅর্ডার যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে কম-বেশি লক্ষণ দেখা যেতে পারে । এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে যেহেতু এটি শৈশব থেকেই শনাক্ত করা হয় তাই রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে সঠিক কৌশল তৈরি করা হয় ৷ এছাড়াও থেরাপি ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ফলে প্রচেষ্টা শুরু করা হয় ৷ তবে এটি শিশুদের নয় সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে ৷ অনেকসময় এটি দেখা যায় অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও খিঁচুনি, ঘুমের সমস্যা, মনোযোগের ঘাটতি হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ৷

ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বিশেষ চাহিদা অনুধাবন, তাদের জন্য ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন এবং সঠিক সময়ে সঠিক পথে প্রয়াস শুরু করার মাধ্যমে অটিস্টিকভাবে শিশুদের উন্নত ও স্বনির্ভর জীবন যাপনে সহায়তা করা যেতে পারে । তিনি আরও জানান, কিছু বিষয় এবং সতর্কতা মাথায় রাখলে অটিজম ব্যবস্থাপনায় খুবই উপকারী হতে পারে । যার কয়েকটি নিম্নরূপ ।

প্রাথমিক শনাক্তকরণ: অটিজমের লক্ষণগুলির মধ্য প্রাথমিক শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । শিশুর মধ্যে অটিজমের লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন । প্রাথমিক হস্তক্ষেপ শিশুর জ্ঞানীয় এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে ।

ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা: অটিজমে আক্রান্ত প্রতিটি শিশুর জন্য একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করা অপরিহার্য । একটি ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা বা IEP হল একটি বিশেষ নথি যা একটি শিশুর বিশেষ চাহিদা এবং লক্ষ্যগুলির উপর ভিত্তি করে নির্দেশনা ও সহায়তার পরিকল্পনা করে । এই প্রকল্পটি শিশুর শিক্ষাগত ও আচরণগত অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

থেরাপি ও চিকিৎসা: অটিজম ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের থেরাপি কার্যকর হতে পারে ৷

আচরণগত থেরাপি: এই থেরাপি ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করতে ও নেতিবাচক আচরণ কমাতে সাহায্য করে ।

ভাষা এবং যোগাযোগ থেরাপি: এটি শিশুর যোগাযোগ এবং ভাষা দক্ষতা উন্নত করে ।

পেশাগত থেরাপি: এটি শিশুকে তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্রিয়াকলাপ উন্নত করতে সাহায্য করে ।

এছাড়াও অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সুগঠিত ও নিয়মিত পরিবেশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । তাই তাদের জন্য একটা রুটিন জীবনযাত্রাই ভালো ।

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের স্কুল সহায়তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই ধরনের শিশুরা যখন স্কুলে যায়, তখন তাদের শিক্ষক ও সহপাঠীদের অটিজম সম্পর্কে সচেতন করা খুবই জরুরি । যাতে তারা সন্তানের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে । বিশেষ করে স্কুলে শিক্ষকদের সাহায্য একটি শিশুর শিক্ষার উন্নতি হতে পারে ।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত করা তাদের সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে । এটি তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া তৈরি এবং বুঝতে সাহায্য করে ।

বর্তমান সময়ে, অনেক প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশন উপলব্ধ রয়েছে যা অটিজম ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হতে পারে । এই ডিভাইসগুলি একটি শিশুর শেখার এবং যোগাযোগ উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ।

হায়দরাবাদ: অটিজম হল শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত এক সমস্যা। যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সমস্যা লক্ষ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বলে থাকেন। তবে সঠিক সময়ে শিশুদের মধ্যে এটি দ্রুত পর্যবেক্ষণ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, অটিজমের প্রভাব এক এক শিশুর ওপর এক এক রকম হয়ে থাকে ।

দিল্লির মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ আশিস সিং ব্যাখ্যা করেছেন যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা এএসডি এমন একটি ব্যাধি ৷ যার কারণে এটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া যোগাযোগ, কথা বলা এবং আচরণে সমস্যা হয় । এটি একটি জেনেটিক ডিসঅর্ডার যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে কম-বেশি লক্ষণ দেখা যেতে পারে । এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে যেহেতু এটি শৈশব থেকেই শনাক্ত করা হয় তাই রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে সঠিক কৌশল তৈরি করা হয় ৷ এছাড়াও থেরাপি ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ফলে প্রচেষ্টা শুরু করা হয় ৷ তবে এটি শিশুদের নয় সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে ৷ অনেকসময় এটি দেখা যায় অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও খিঁচুনি, ঘুমের সমস্যা, মনোযোগের ঘাটতি হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ৷

ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বিশেষ চাহিদা অনুধাবন, তাদের জন্য ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন এবং সঠিক সময়ে সঠিক পথে প্রয়াস শুরু করার মাধ্যমে অটিস্টিকভাবে শিশুদের উন্নত ও স্বনির্ভর জীবন যাপনে সহায়তা করা যেতে পারে । তিনি আরও জানান, কিছু বিষয় এবং সতর্কতা মাথায় রাখলে অটিজম ব্যবস্থাপনায় খুবই উপকারী হতে পারে । যার কয়েকটি নিম্নরূপ ।

প্রাথমিক শনাক্তকরণ: অটিজমের লক্ষণগুলির মধ্য প্রাথমিক শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । শিশুর মধ্যে অটিজমের লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন । প্রাথমিক হস্তক্ষেপ শিশুর জ্ঞানীয় এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে ।

ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা: অটিজমে আক্রান্ত প্রতিটি শিশুর জন্য একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করা অপরিহার্য । একটি ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা বা IEP হল একটি বিশেষ নথি যা একটি শিশুর বিশেষ চাহিদা এবং লক্ষ্যগুলির উপর ভিত্তি করে নির্দেশনা ও সহায়তার পরিকল্পনা করে । এই প্রকল্পটি শিশুর শিক্ষাগত ও আচরণগত অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

থেরাপি ও চিকিৎসা: অটিজম ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের থেরাপি কার্যকর হতে পারে ৷

আচরণগত থেরাপি: এই থেরাপি ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করতে ও নেতিবাচক আচরণ কমাতে সাহায্য করে ।

ভাষা এবং যোগাযোগ থেরাপি: এটি শিশুর যোগাযোগ এবং ভাষা দক্ষতা উন্নত করে ।

পেশাগত থেরাপি: এটি শিশুকে তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্রিয়াকলাপ উন্নত করতে সাহায্য করে ।

এছাড়াও অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সুগঠিত ও নিয়মিত পরিবেশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । তাই তাদের জন্য একটা রুটিন জীবনযাত্রাই ভালো ।

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের স্কুল সহায়তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই ধরনের শিশুরা যখন স্কুলে যায়, তখন তাদের শিক্ষক ও সহপাঠীদের অটিজম সম্পর্কে সচেতন করা খুবই জরুরি । যাতে তারা সন্তানের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে । বিশেষ করে স্কুলে শিক্ষকদের সাহায্য একটি শিশুর শিক্ষার উন্নতি হতে পারে ।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত করা তাদের সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে । এটি তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া তৈরি এবং বুঝতে সাহায্য করে ।

বর্তমান সময়ে, অনেক প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশন উপলব্ধ রয়েছে যা অটিজম ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হতে পারে । এই ডিভাইসগুলি একটি শিশুর শেখার এবং যোগাযোগ উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.