কলকাতা, 25 অক্টোবর: 'দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস' ছবির পর্দায় ৷ সাহিত্য বা নাটকপ্রেমীদের কাছে যে জায়গা মন্দিরের মতো, সেই অ্যাকাডেমি কি এবার উঠে আসছে ছবির পর্দায়? বিষয়টা পরিস্কার করলেন পরিচালক জয়ব্রত দাস ৷ প্রমোদ ফিল্মস-এর ব্যানারে প্রতীক চক্রবর্তীর নিবেদনে আসছে নতুন বাংলা সিনেমা ।
ছবির নাম 'দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস' ৷ নানা চরিত্রে দেখা যাবে রুদ্রনীল ঘোষ, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋষভ বসু, সৌরভ দাস, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, অমিত সাহা-সহ আরও অনেককে। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা জয়ব্রত দাশের। আগামী বছরেই এই ছবি আসবে বলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টার-সহ জানিয়েছেন কলাকুশলীরা।
সিনেমার নাম কেন 'দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস' ? পরিচালক বলেন, "এই সিনেমার প্রত্যেকটি চরিত্র এক একজন ক্রিমিনাল। প্রত্যেকেই এক একটি বিশেষ বিশেষ কাজে দক্ষ। যেমন কেউ ভালো চুরি করতে পারেন, কেউ প্রফেশনাল হিটম্যান, আবার কেউ লক আর্টিস্ট। আর যেহেতু প্রত্যেকটি কাজই এক একটি ফাইন আর্ট এবং চরিত্ররা আর্টিস্ট তাই , সিনেমার এই নাম।" পরিচালক আরও জানান, "এটি একটি 'পাল্প অ্যাকশন থ্রিলার'। তবে অ্যাকশন থ্রিলার হলেও এই সিনেমায় কমেডির রসদও পাবেন দর্শকরা ৷"
অভিনেত্রী অনুরাধা মুখোপাধ্যায় ইটিভি ভারতকে বলেন, "ছবিটার ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে পারব না। তবে একেবারে অন্যরকমের একটা ছবি। সিনেমার ছাত্রছাত্রীরাই বানিয়েছেন। অ্যাকশন ফ্যাক্ট ফিল্ম। অর্থাৎ যেমন অ্যাকশন আছে তেমনি আছে ঘটনার ঘনঘটা। মূলত চোরদের নিয়েই এই ছবি। তবে, আছে খুনের মতো ঘটনাও। চুরি করতেও একটা শিক্ষা লাগে। ওই জন্যই অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস বলা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "রুদ্রদা'কে অনেকদিন পর অন্য মেজাজে পাওয়া যাবে। অমিত সাহা আছেন। যাঁকে আমরা কমই পাই সিনেমায়। পায়েল দি'ও (সরকার) অন্যরকমের একটা চরিত্রে। সাম্প্রতিককালে এই রকম অ্যাকশন ফিল্ম দেখেনি বাংলা ছবির দর্শক। দুর্ধর্ষ অ্যাকশন আছে। আছে রহস্য-রোমাঞ্চ। বাকিটা থাক।"
ছবির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে অত্যন্ত দামি অ্যান্টিক মদের বোতল আর কয়েকজন ক্রিমিনালকে ঘিরে। সবাই মিলে প্ল্যান করে এই মদের বোতল চুরি করার। সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে নেমেই ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা ৷ তৈরি হতে থাকে প্ল্যান-অ্যান্টি প্ল্যান ৷ অন্যরকম ধারায় সিনেমার গল্প এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক জয়ব্রত দাস।
উল্লেখ্য, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট- এর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে, সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব পুঁজি দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছেন জয়ব্রত। বহুবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছবির কাজ, আবার ফান্ড জোগাড় করে কাজ শুরু করেছেন। তিন বছরের এই লম্বা যাত্রা পথে প্রত্যেক অভিনেতা যাঁরা এই ছবিতে কাজ করেছেন, তাঁরা সব রকমভাবে সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক জয়ব্রত দাস।